• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

রাজাপুরে এমপি হারুনের সংবর্ধনায় আ’লীগের দুগ্রুপে সংঘর্ষ আহত ৫

প্রকাশ:  ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ২১:৫৬
ঝালকাঠি প্রতিনিধি

উপজেলা নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের সংবর্ধনা সভায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে লাঠিচার্জ শুরু করলে আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর সমর্থকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। এ ঘটনায় পাঁচ-ছয়জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কে হবেন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী তা নিয়ে দলের মধ্যে আগে থেকেই উত্তেজনা চলছিল। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু এবং উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। এনিয়ে দলের মধ্যেই দেখা দিয়েছে বিভাজন। এক পক্ষ মিলন মাহমুদ বাচ্চুর হয়ে কাজ করছেন। অন্য পক্ষ আফরোজা আক্তার লাইজুর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরে বজলুল হক হারুন নিজ এলকালায় আসবেন বলে জানান। সোমবার বিকেলে তিনি ঢাকা থেকে রাজাপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। ঝালকাঠির পেট্রোলপাম্প মোড়ে তাকে এগিয়ে নিতে এবং শুভেচ্ছা জানাতে আসেন আসন্ন রাজাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। এমপি হারুন পেট্রোলপাম্প মোড়ে আসলে মিলন মাহামুদ বাচ্চু ও আফরোজা আক্তার লাইজুর পক্ষে নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদা স্লোগান দিয়ে গাড়ি বহর নিয়ে রাজাপুর যায়।

মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে নবনির্বাচিত এমপিকে সংবর্ধনা দেওয়ার আয়োজন করে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ। বিকেল অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হন এমপি হারুন। এ সময় মাইকে মিলন মাহামুদ বাচ্চু মৃধার পক্ষে স্লোগান দেন তাঁর নেতাকর্মীরা। পরে মাইক কেড়ে নিয়ে লাইজুর পক্ষেও তাঁর নেতাকর্মীরা স্লোগান দেওয়া শুরু করে। এতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি শুরু করেন। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য লাটিপেটা শুরু করে। পুলিশকে লক্ষ্য করেও নেতাকর্মীরা চেয়ার ছুঁড়ে মারে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত পাঁচ-ছয়জন নেতাকর্মী আহত হন। এ সময় মাইকে এমপি হারুন উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার আহবান জানান। সংঘর্ষ থেমে গেলে সংক্ষিপ্তভাবে এমপিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের মুঠোফোনে কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আফরোজা আক্তার লাইজু বলেন, বাচ্চু মৃধার পক্ষে কতগুলো অপরিচিত গুন্ডাপান্ডা স্লোগান দিতেছিল। আমার পক্ষে দলের নারীকর্মীরা স্টেইজের সামনে বসা ছিল, তারা আকস্মিকভাবে চেয়ার ছুঁড়ে মারে। তাদের মধ্যে আমি দুইজনকে চিনি, তারা হলেন ছগির মাতুব্বর ও ইলিয়াছ হোসেন। এতে মহিলা আওয়ামী লীগ ও আমার কয়েকজন সমর্থক আহত হয়। পরে এমপি সাহেব নিজেই ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ব্যপারে মিলন মাহামুদ বাচ্চু মৃধার বক্তব্য জানার জন্য তাঁর মুঠোফোনে কল করে বন্ধ পাওয়া যায়। তবে বাচ্চু মৃধার পক্ষে স্লোগান দেওয়া ইলিয়াছ হোসেন বলেন, আমরা এমপি হারুনকে মে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম, কিন্তু আফরোজা আক্তার লাইজুর পক্ষে তারেক মেম্বার এসে মাইক্রোফোন কেড়ে নেয়।

রাজাপুর থানার ওসি মো. জাহিদ হোসেন বলেন, সামান্য ঝামেলা হয়েছে। পুলিশ সেটা থামিয়ে দিয়েছে। কেউ আহত হয়নি। এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগও করেনি।

পিবিডি/আরিফ

ঝালকাঠি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close