• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

যক্ষ্মা নির্ণয়ে জিন এক্সপার্ট মেশিনে সুফল পাচ্ছে রোগীরা

প্রকাশ:  ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:২২
ফেনী প্রতিনিধি

ফেনী শহরের মহিপালে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে যক্ষ্মা নির্ণয়ে জিন এক্সপার্ট মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। অত্যাধুনিক এই মেশিনে বিনামূল্যে স্বল্পসময়ে দ্রুত রোগ শনাক্ত ও দ্রুত চিকিৎসা প্রদান সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বক্ষব্যাধি হাসপাতাল অফিস জানায়, গুণগত ও মানসম্পন্ন উপায়ে যক্ষ্মা রোগ নির্ণয়ে গ্লোবাল ফান্ডের সহায়তায় সরকার মেশিনটি স্থাপন করেছে। ২০১৮ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে পর্যন্ত এ জিন এক্সপার্ট মেশিনে ৩শ ৮৪ জন রোগীর কফ পরীক্ষা করা হয়। ৭১ জন যক্ষ্মা রোগী সনাক্ত করা সম্ভব হয়। ৩ জন এন্ট্রি ড্রাগ রেজিষ্ট্রার্ড এমটিডিআর সিবিমিক্স সনাক্ত করা হয়। গত বছর যদিও মেডিকেল টেকনেশিয়ানের অভাবে সপ্তাহে ২ দিন পরীক্ষা করা হতো। এখন সপ্তাহে সরকারী খোলার প্রতিদিনই পরীক্ষা করা হয়।

সম্পর্কিত খবর

    যার ফলে জিন এক্সপার্ট পরীক্ষার হার ও রোগ নির্ণয়ের হার আগের চেয়ে অনেক গুন বেড়েছে। এ পরীক্ষাটি যে কোন ব্যক্তি যদি মনে করে তার যক্ষ্মা হয়েছে সন্দেহ করে নির্দিষ্ট ফরম পূরন করে কোটা সংগ্রহ করে এ পরীক্ষা করতে পারবে। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত পরীক্ষা করা যায়।

    হাসপাতালের বক্ষব্যাধি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মীর ইফতেখার মোস্তাফিজ জানান, জিন এক্সফার্ট মেশিন হচ্ছে একটা রিয়েল টাইম পিসিআর মেশিন। এর মাধ্যমে মাইক্রোবেকটেরিয়াম টিউবার ক্রোসিস, যে জীবানু সে রোগের জিন বা জিবানু কম্পিউটারের মাধ্যমে টিভি রোগ নির্ণয় করা যায়। যদি কারো কফে জীবানু থাকে এ মেশিনের বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। যদি রোগীর কফে জীবানুর সংখ্যা কম থাকে অথবা প্রতি লেবেলে ১শ থাকে তাহলে টিভি রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়। যেটা নরমাল মাইক্রোস্কপিতে প্রতি চ্যম্পলে ৫ হাজার জীবানু লাগে রোগীর রিপোর্ট পজেটিভ আসতে। সেখানে এ মেশিনে মাত্র ১শ জীবানু থাকলে তা নির্ণয় করা সম্ভব হয়। এছাড়া এ মেশিনের মাধ্যমে সহজে টিভি নির্ণয় করা যায়। অপরদিকে কোন রোগী ড্রাগ রেজিষ্ট্রার্ড কিনা তা নির্ণয় করা যায় সহজে। এ মেশিনে প্রসেসিংয়ের সময় বেঁধে মাত্র ২ ঘন্টার মধ্যে নিখুঁতভাবে রিপোর্ট দেয়া যায়।

    তিনি আরো জানান, এ মেশিনে কফ ছাড়া শরীরে অন্যান্য জায়গায় যক্ষ্মার জীবানু থাকলেও তা নির্ণয় করা যায়। এ পরীক্ষাটি এসিডিআরবি হাসপাতাল ও প্রাইভেট হাসপাতালগুলোতে করাতে খরচ লাগে প্রায় ৫ হাজার টাকার মতো। এ রোগ নির্ণয়ে যে কাঠি ব্যবহার করা হয়। তার দামও প্রায় ৫ হাজার টাকার মত। একটি বক্সে ৪টি কাঠি থাকে। যা দিয়ে চারজন রোগীর কফ একসাথে পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। কফ পরীক্ষায় হাতের কোন ধরনের ছোঁয়া বা কাজ থাকে না এটা সম্পূর্ণ একটা অটো অত্যাধুনিক ডিজিটাল জিন এক্সপার্ট মেশিন, এ মেশিনে অটো রিপোর্ট বের হয়। যার ফলে এ রিপোর্ট ৯৮/৯৯শতাংশ সঠিক থাকে। এটা একমাত্র রোগ যা নির্ণয়ে সরকার সম্পূর্ণ ফ্রিতে এবং কারো কফ পরিক্ষা রোগ ধরা পড়লে ঔষধ ও বিনামূল্যে দেয়া হয়। গত বছর জানুয়ারি মাসে এ মেশিনটি ফেনীতে আসে এবং মার্চ থেকে রোগ নির্ণয় শুরু করা হয়।

    মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট মো. আবুল হোসেন জানান, জিন এক্সপার্ট মেশিনের মাধ্যমে রোগ নির্ণয় সহজ হলেও আমরা আতংকের মধ্যে থাকি। কারণ এ মেশিনের জন্য যে কক্ষ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকতে হয়। আর এ কক্ষে জীবানুরা দরজা জানালা বন্ধ থাকায় বাহিরে যেতে পারে না। এতে করে আমাদের অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়।

    পিবিডি/ওএফ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close