• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

শুষ্ক মৌসুমে সেচ পাম্প চালু না হওয়ায় বিপাকে কুষ্টিয়ার কৃষকরা

প্রকাশ:  ২৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:২৬
দেবাশীষ দত্ত, কুষ্টিয়া

শুষ্ক মৌসুমে সঠিক সময়ে সেচ পাম্প চালু না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। পদ্মা নদী আর গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পাম্প হাউজের সংযোগ ইনটেক চ্যানেলে পলি অপসারণ না করায় সেচ পাম্প চলতি বোরো মৌসুমে চালু হয়নি। এদিকে অতিরিক্ত পলি সরাতে ড্রেজিংয়ের কাজ চলছে বলে জানান গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। তারা শিগগিরই পাম্প চালুর আশ্বাস দিয়েছেন।

সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা নদীর সঙ্গে গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পাম্প হাউজের মাঝে দুই কিলোমিটার ইনটেক চ্যানেলে পলি অপসারণ সঠিক সময়ে না করায় নিদিষ্ট সময়ে সেচ দিতে পারছে না গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ। গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পাম্প বন্ধ থাকায় ১৯৩ কিলোমিটার মেইন ক্যানেল, ৪৬৭ কিলোমিটার সেকেন্ডারি ক্যানেল, ৯৯৫ কিলোমিটার টারশিয়ারি ক্যানেলে পানি নেই।

চলতি মাসের ১৫ তারিখ গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পাম্প চালু হবার কথা থাকলেও নিদিষ্ট সময়ে পাম্প চালু করতে পারেনি। সেচ খালগুলোতে পানি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার ১৩টি উপজেলার কৃষকরা। সঠিক সময়ে সেচ সুবিধা না পেয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে চলতি বোরো মৌসুমের ২৪ হাজার ৯ শত ৭০ হেক্টর জমিতে ফসল চাষ।

কৃষকরা জানান, পানির অভাবে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খুব দ্রুত পানি না পেলে এবার রোপণ করা ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না। মিরপুর উপজেলার মশান গ্রামের চাষি আব্দুল মান্নান জানান, খালের সমস্যার কারণে আমরা পানি পাচ্ছি না। সেজন্য প্রকল্পের আওতায় চাষাবাদ করতে সমস্যা হচ্ছে।

কুষ্টিয়ায় গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মনিরুজামান বলেন, পদ্মা নদীর সাথে পাম্পের যে ইনটেক চ্যানেল রয়েছে, এ বছর তাতে পলির পরিমাণ বেশি হওয়া ড্রেজিং কার্যক্রম বিলম্বিত হয়েছে। অতিসত্ত্বর পাম্প চালু করে সেচ প্রদান করা হবে। গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের পাম্প হাউজের তথ্য মতে ৩টি পাম্প প্রতি সেকেন্ডে ৩ হাজার ৯০০ কিউসেক পানি সেচের জন্য উত্তোলন করতে পারে।

/পিবিডি/পি.এস

কুষ্টিয়া,শুষ্ক মৌসুম,সেচ পাম্প,কৃষক

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close