রামগতিতে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, বিপাকে ১৬ শিক্ষার্থী
লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে নির্ধারিত প্রশ্নের পরিবর্তে ভুল সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আলেকজান্ডার পাইলট উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত বাংলা প্রথমপত্রের এমসিকিউ পরীক্ষায় ১৬ জন শিক্ষার্থীর ভুল সিলেবাসের প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এদের মধ্যে ১৩ জন পরীক্ষার্থীর ২০১৯ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাসে এবং তিনজন পরীক্ষার্থীর ২০১৮ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে ২০১৯ সালের সিলেবাসে প্রণীত প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয় কর্তৃপক্ষ। এতে করে ওই বিষয়ে ফেল করার আশঙ্কায় চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন ওই সব পরীক্ষার্থীরা।
সম্পর্কিত খবর
জানা গেছে, শনিবার বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় আলেকজান্ডার পাইলট উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৯৭০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২০১৮ সালের সিলেবাসের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিল ১৬৯ জন। ২০১৫ ও ২০১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন এবং ২০১৭ সনের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৯ সালের সিলেবাস অনুযায়ী কুমিল্লা বোর্ড থেকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। কিন্তু পুরাতন ও নতুন পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা প্রশ্নপত্র থাকলেও ১৩ জন নতুন শিক্ষার্থীর হাতে ২০১৯ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে তুলে দেওয়া হয় ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন।
আবার তিনজন পুরাতন পরীক্ষার্থীর হাতে ২০১৮ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে দেওয়া হয় ২০১৯ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা শেষে ঘটনা জানাজানি হলে পরীক্ষার্থীরা বিষয়টি কেন্দ্র সচিবকে অবহিত করলে তিনি বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন।
উপজেলার বালুরচর উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম তৌকির (রোল নম্বর-৬২৫৭১১) জানান, তার মতো ওই বিদ্যালয়ের ১৩ শিক্ষার্থীর সঠিক প্রশ্নে সৃজনশীল অংশে পরীক্ষা হলেও ভুল এমসিকিউ প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। কক্ষ পরিদর্শক তাদেরকে ২০১৯ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্ন দেন।
একই বিদ্যালয়ের মানবিক শাখার আরেক শিক্ষার্থী মো. রায়হান জানান, তারসহ ওই বিদ্যালয়ের তিন পরীক্ষার্থীর ২০১৮ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে ২০১৯ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। এমনিতেই তাদের এক বছর নষ্ট হয়েছে; এখন আবার ভুল প্রশ্নপত্রের কারণে তাদের ফেল করার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই তাদের শিক্ষা জীবনের কথা বিবেচনা করে বিষয়টি সুন্দর সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে তারা জোর দাবি করছে। কেন্দ্র সচিব আলেকজান্ডার পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কক্ষ পরিদর্শকদের ভুলে এ ঘটনাটি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিষয়টি বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অভিহিত করা হয়েছে। ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেওয়া শিক্ষার্থীদের রোল নম্বরসহ প্রতিবেদন বোর্ডে পাঠানো হবে। আশা করছি পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
/পিবিডি/পি.এস