• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||

চট্টগ্রাম থেকে অপহরণের শিকার তরুণী মণিরামপুরে উদ্ধার

প্রকাশ:  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৬:২৭
মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি

যশোরের মণিরামপুরে অপহরণের শিকার শারমিন নামে এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (১০ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে থানা পুলিশ পৌর শহরের তাহেরপুর থেকে শারমিনকে উদ্ধার করা হয়।

সম্পর্কিত খবর

    গত চারদিন আগে চট্টগ্রামের চকরিয়া হতে অপহরণের শিকার হন শারমিন। অপহরণ চক্রটি তাকে ভারতে ঝিয়ের কাজ দেওয়ার কথা বলে অপহরণ করে মণিরামপুরে নিয়ে আসে।

    মণিরামপুরে এসে ওই চক্রের আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয় এক স্কুল শিক্ষিকার কাছে আশ্রয় চান শারমিন। পরে স্কুল শিক্ষিকা ডলি আক্তার তাকে উদ্ধার করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।

    শারমিন চট্টগ্রামের চকরিয়া উপজেলার বানিয়াছাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে। চার বছর আগে স্থানীয় হাসান নামে এক যুবকের সাথে তার বিয়ে হয়। এরপর হাসান তাকে তালাক দেয়।

    এ ঘটনায় মণিরামপুর পৌর শহরের আব্দুর রহমান ও রুবেল নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

    আব্দুর রহমান পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামের ওয়াজেদ মাস্টারের ছেলে। তার ফ্লেক্সি লোডের দোকান রয়েছে বলে জানা গেছে। আর রুবেল একই এলাকার মোস্তাকের ছেলে। সে পেশায় পল্লী বিদ্যুতের জুনিয়র প্রকৌশলী।

    স্কুল শিক্ষিকা ডলি আক্তার জানান, রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বাসা থেকে বেরিয়ে মোবালে ফ্লেক্সি দিতে দোকানে আসছিলেন তিনি।

    ওই সময় রাস্তার পাশে শারমিনকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। শারমিন তার কাছে চট্টগ্রামে যাবে বলে গাড়ি ঠিক করে দিতে বলে। ওই রাতে গাড়ি পাওয়া যাবেনা বলে শারমিনের কাছে বিষয়টি জানতে চান তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শারমিন তাকে অপহরণের বিষয়টি খুলে বলে। তখন শিক্ষিকা ডলি তাকে উদ্ধার করে নিজ বাসায় নিয়ে যান। এরপর থানা পুলিশে খবর দিলে রাত ১২টার দিকে পুলিশ শারমিনকে থানায় নিয়ে যায়।

    অপহরণের শিকার শারমিন জানায়, গত চারদিন আগে নিজ গ্রামের এক নারী তাকে ভারতে কাজ দেবে বলে প্রথমে যশোরে আনে। তারপর রোববার দুপুরে তাকে নিয়ে মণিরামপুরে আসে ওই নারী। মণিরামপুরে আসার পর স্থানীয় কয়েকজনের সাথে ওই নারীকে আড়ালে কথা বলতে দেখে সন্দেহ হয় তার। পরে শিক্ষিকা ডলির কাছে সাহায্য চাইলে তিনি তাকে উদ্ধার করেন।

    মণিরামপুর থানার এসআই খান আব্দুর রহমান জানান, তাহেরপুর এলাকার মৃত এনায়েত মুহুরীর ছেলে মোস্তাক এই কিশোরীকে অপহরণের সাথে জড়িত বলে পুলিশ প্রাথমিক প্রমান পেয়েছে। মোস্তাকের তিন স্ত্রী। তারমধ্যে দ্বিতীয়জন যশোরে থাকেন। আর তার ছোট স্ত্রী ভাতরে থাকে। মণিরামপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের ফুশলিয়ে ভারতে নিয়ে বিক্রি করে তার ছোট বউ। শারমিনকে কাজ দেবে বলে যে নারী তাকে সাথে এনেছিল প্রথমে সে ওই কিশোরীকে নিয়ে যশোরে মোস্তাকের দ্বিতীয় স্ত্রীর বাসায় ওঠে। পরে রোববার দুপুরে শারমিনকে মণিরামপুরে আনে চক্রটি।

    এসআই খান আব্দুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই জনকে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, শারমিনকে অপহরণের সাথে চারপাঁচ জন জড়িত। এই ঘটনার পর থেকে মোস্তাক পলাতক রয়েছে।’

    পিবিডি/আর-এইচ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close