একই কর্মস্থলে ৮ বছর
লোহাগড়া প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মুস্তাইন বিল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন খামার মালিকরা অভিযোগ করে বলেন, প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কাজী মুস্তাইন বিল্লাহ অসুস্থ গরু, ছাগল, হাঁস মুরগিসহ গৃহপালিত বিভিন্ন প্রাণিদের নিজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা না দিয়ে কম্পাউণ্ডার ও ড্রেসার দিয়ে চিকিৎসা দিচ্ছেন।
সম্পর্কিত খবর
এতে করে সাধারণ মানুষ ও খামারিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। প্রাণিদের ঠিকমত চিকিৎসা হচ্ছে না।
নিয়মনীতি উপেক্ষা করে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় ডা. মুস্তাইন বিল্লাহ শুরু থেকেই বসবাস করে আসছেন।
লোহাগড়া উপজেলার কচুবাড়িয়া এলাকার ভূক্তভোগী গরু খামারি হায়দার বলেন, আমাদের পরিবারে ৩৫টি গাভী পালন করছি। তবে গাভী অসুস্থ হলে লোহাগড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিস থেকে তেমন কোনো চিকিৎসা দেয়া হওয় না।
মাঝেমধ্যে কম্পাউন্ডার ও ড্রেসারদের দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। এতে ভালো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে যশোর থেকে পশু চিকিৎসক এনে গাভীর চিকিৎসা করাতে হয়।
দাসেরডাঙ্গা গ্রামের খামারি বাবলু মিয়া বলেন, লোহাগড়ার পশু হাসপাতালের ডাক্তার আমাদের সাথে ভালো ব্যবহার করেন না। সেখানে গরু নিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার চিকিৎসা না দিয়ে কম্পাউণ্ডার দিয়ে এ কাজ করান।
গন্ধবাড়িয়া গ্রামের মুরগি খামারি ফারুক মোল্যা জানান, মুরগির রোগবালাই হলে লোহাগড়া পশু হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা দেওয় না।
লোহাগড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী মুস্তাইন বিল্লাহ দাবি করে বলেন, বিভাগীয় কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে আমি এখানে (অফিস) বসবাস ও ভাড়া পরিশোধ করে আসছি। আর আমাকে এখান থেকে সরানোর জন্য চক্রান্ত চলছে।
কোন বিভাগীয় কর্মকর্তা অনুমতি দিয়েছেন? এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পিবিডি/আর-এইচ