• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই!

প্রকাশ:  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:১৬
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

অসময়ে থৈ থৈ পানি খেলার মাঠে। নাম মাত্র প্রথম শ্রেণির কুলাউড়া পৌরসভার এ যেনো এক নতুন হতাশাকর চিত্র! খেলার মাঠ সর্ম্পকে জানতে চাইলে হঠাৎই চটে গেলেন মেয়র। কিন্তু সমাধান নেই। পৌরসভার বার্ষিক বাজেটে ঠিকই বড় আষ্কের টাকা বরাদ্দ রাখা হয় ড্রেন নির্মান ও মেরামত খাতে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। সেই বাজেটের টাকার অষ্ক শুধু বার্ষিক বাজেটের সময় দেখা মিলে। পক্ষান্তরে পরিকল্পনা ছাড়াই ড্রেনেজ ব্যবস্থা সর্বত্র।

কুলাউড়া পৌরসভার বাজেট প্রসঙ্গে ক্রীড়াপ্রেমীরা বলেন- কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই।

সম্পর্কিত খবর

    জেলার কুলাউড়া উপজেলা সদরের একমাত্র খেলার মাঠ নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ । এই মাঠেই চলছে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ ২০১৯। এ অবস্থায় বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে সময়ের বন্যার পানি। এ খেলা উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার।

    নিয়মিত সব ধরনের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয় এই মাঠে। অথচ নিত্য প্রয়োজনীয় বিশাল এ মাঠটির যেন এখন অভিভাবকশূন্য। সঠিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি ছাড়াই মাঠটিতে জমে আছে পানি। ফলে খেলাধুলার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে মাঠটি। ক্রীড়াপ্রেমীদের পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

    জানা যায়, গত ৯ ফেব্রুয়ারি মাঠের পাশ দিয়ে নির্মিত ড্রেন উপচে পানি ঢুকেছে। দেখে মনে হচ্ছিল অতিবৃষ্টির কারণেই পানি ঢুকেছে মাঠে। কিন্তু বাস্তবতা হল পরিকল্পনা ছাড়াই ড্রেন নির্মাণের ফলে এ অবস্থা সৃষ্টি।

    এদিকে মাঠে পানি থাকায় টুনামেন্ট পরিচালনা কমিটি পড়ছেন বিপাকে। টুনামের্ন্ট শেষ করা নিয়ে রয়েছেন দুচিন্তায়।

    কয়েকজন ক্রীড়া প্রেমীরা, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা কে দায়ী করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ কি ঘুমিয়ে আছেন? না কি দিবা স্বপ্নে বিভোর ? আমাদের জানা নেই। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনকারী ডিফেন্ট ক্লাবের কর্মকর্তা মুহিত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন- কোন বৃষ্টি ছাড়া মাঠে হাবুডুবু খাচ্ছে পানি। তিনি বলেন-টিম গঠন করতে অনেক টাকা খরচ করেছি। টুর্নামেন্ট বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের ক্ষতিপুরণ দিতে হবে।

    সোনাপুর সমাজকল্যাণ সংস্থার টিম ম্যানেজার পৌর কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকে দায়ী করে বলেন- এ দেখে মনে হচ্ছে না, আমরা প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় বাস করছি। বৃষ্টি হলে মাঠের অবস্থা কি হবে এমন প্রশ্ন রেখে রেলওয়ে দুর্জয় সংঘের রায়হান সাসু জানান- এর থেকে গ্রাম অনেক ভালো। কুলাউড়ার একটি ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ এটি। এ মাঠ থেকে অনেক খেলোয়াড জাতীয় পর্যায়ে সফলতা অর্জন করছে। অথচ শহরের প্রাণকেন্দ্র খেলার মাঠ যখন বৃষ্টিহীন পানিতে থৈ থৈ করছে। তখন প্রশ্ন জাগতেই পারে আমরা কোন শ্রেণীর পৌরসভায় বাস করছি?

    উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ বলেন-পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এই মাঠে প্রতিটি ইভেন্টে খেলা শুরুর আগে অনেক টাকা খরচ করে অনেক কষ্টের বিনিময়ে মাঠ পস্তুত করতে হয়। চলমান ক্রিকেটলীগ শুরুর আগেও প্রচুর টাকা ব্যয় করে মাঠ প্রস্তুত করা হয়। হঠাৎ বৃষ্টিহীন পানির কারণে মাঠের অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় খেলা স্থগিত রাখা হয়েছে।

    তিনি দু:খ প্রকাশ করে বলেন - পৌরসভাকে সাথে সাথে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। একটি টুর্নামেন্ট আয়োজনে অনেক অর্থ ব্যয় হয়, টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনকারী দলগুলো প্রচুর অর্থ ব্যয় করে টিম গঠন করে । অথচ সামান্য ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাবে এতো সুন্দর আয়োজন নষ্ট হতে চলেছে।

    এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নিবার্হী অফিসার ও ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি মোঃ আবুল লাইছ বলেন- এ বিষয়ে পৌর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। ঠিক হয়ে যাবে দ্রুত।

    কুলাউড়া পৌর মেয়র শফি আলম ইউনুছের কাছে খেলার মাঠ সর্ম্পকে জানতে চাইলে হঠাৎ চটে গিয়ে বলেন-‘আপনি কে। আমি অসুস্থ। আমায় প্রশ্ন করলেন কেন।’

    পিবিডি/আর-এইচ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close