বাঘার ইউএনও’র ফোন নম্বর ক্লোন করে চাঁদা দাবি
রাজশাহীর বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সরকারি মোবাইল ফোন নম্বর ফের ক্লোন করে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ইউএনও পরিচালিত ‘উপজেলা প্রশাসন’ বাঘা, রাজশাহীর নামে ফেসবুকে একটি সতর্কমূলক জরুরি বিজ্ঞপ্তি শিরোনামে পোস্ট দেয়া হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
এতে তিনি তার ব্যবহৃত সরকারি নম্বরটি উল্লেখ করে লিখেন, আমার সরকারি নম্বরটি ক্লোন করে কে বা কারা নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাললের প্রধান শিক্ষক, মনিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা কাছ থেকে ল্যাপটপ দেয়া হবে বলে টাকা দাবি করছেন।
বিষয়টিতে সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাললের প্রধান শিক্ষক পাপিয়া সুলতানা, মনিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা শাজাহান হোসেন, দিলরুবা ইয়াসমিন বলেন, ইউএনওর সরকারি নম্বর থেকে বৃস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ফোন দিয়ে বলা হয়, আপনার প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ বরাদ্দ হয়েছে। কিছু টাকার দরকার। এ কথা শুনে আশ্চর্য হয়েছি। স্যার তো এভাবে কথা বলে না। এতে সন্দেহ হয়। তারপরই ফোন কেটে দেন। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারকে ফোন দিলে তিনি কোন ফোন করেনি।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন রেজা বলেন, নারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাললের প্রধান শিক্ষক, মনিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তারসহ কয়েকটি ফোন আসে আমার কাছে। তাদেরকে বিভিন্ন কাজের কথা বলে টাকা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানার পর প্রাথমিকভাবে সবাইকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হবে।
বাঘা থানার ওসি মহসীন আলী বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া গত ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট ইউএনওর ফোন ক্লোন করে আড়ানী ইউনিয়ন সচিব হাসানুজ্জামান, গড়গড়ি ইউনিয়ন সচিব উজ্জল হোসেন, বাউসা ইউনিয়ন সচিব রফি আহম্মেদের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়েছিল।
/অ-ভি