মাদকাসক্ত আসামিকে পুলিশে দিলেন অতিষ্ঠ স্বজনরা
দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাদকাসক্ত। মেয়েশিশুকে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে বেশ কিছুদিন জেল খেটে বাড়ি ফিরেছেন। তবুও নেশা ছাড়তে পারেননি। মাদকের একটি মামলায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। পুলিশ বলছে, তিনি ফেরারি ছিলেন। মাদকাসক্ত হয়ে নির্যাতনের কারণে পরিবারের সদস্যরা তার ওপর অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেন স্বজনরা।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার কুলাউড়া পৌর শহরের জয়পাশা এলাকায়। মাদকাসক্ত ওই যুবকের নাম খাইরুল ইসলাম (২৭)।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশ ও স্বজনরা জানান গেছে, খাইরুল এক সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। চার থেকে পাঁচ বছর আগে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েন। তার বাবা বেঁচে নেই। পরিবারের মা, দুই ভাই, স্ত্রী ও সাত বছর বয়সী এক ছেলে আছে। নেশা করে বাড়ি ফেরায় গত বছরের (২০১৮) প্রথম দিকে স্ত্রী মুসলিমা বেগম তাকে বকাঝকা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি (খাইরুল) স্ত্রীর কোলে থাকা ৪০ দিন বয়সী মেয়েকে টেনে নিয়ে ঘরের বারান্দায় ছুড়ে ফেলে দেন। পরে ওই শিশুটি মারা যায়।
এ ব্যাপারে স্ত্রী মুসলিমা কুলাউড়া থানায় খাইরুলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে মৌলভীবাজার জেলা সদরের হাজতে পাঠিয়ে দেয়। ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর তিনি জামিনে ছাড়া পান। পরে পারিবারিক আপোসের মাধ্যমে বিষয়টি মিটমাট হয়ে যায়।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে মাদকাসক্ত অবস্থায় খাইরুল তার বড় ভাইয়ের ছেলে নাহিদকে (৮) একটি কক্ষে আটকে রাখেন। পরে স্বজনরা বিষয়টি পুলিশকে জানান। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খাইরুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে মাদকের একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে।
কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দিদার উল্লাহ্ বলেন, খাইরুল পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছিল না। নতুন করে আর কোনো মামলা হয়নি। আজ তাকে মৌলভীবাজারের কারাগারে পাঠিনো হবে।
/পিবিডি/একে