ধামরাইয়ে ‘পাগলিকে’ গণধর্ষণের অভিযোগ
ঢাকার ধামরাই উপজেলার শ্রীরামপুর এলাকায় ছদ্দনাম জরিনা বেগম (৩২) নামের এক পাগলিকে জোরপূর্বক গণধর্ষণের অভিযোগ উঠছে একই এলাকার দুই লম্পটের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে নির্মাণধীন একটি ভবনের ভিতরে তাকে ডেকে নিয়ে গণধর্ষণ করে তারা।
সম্পর্কিত খবর
এঘটনা ধামাচাপা দিতে স্থানীয় মাতাব্বরা পায়তারা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ঘটনার পর থেকে ধর্ষকরা পালিয়ে রয়েছে।
সরেজমিনে গেলে ধর্ষিতা ও এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মাহামুদ মিয়ার ছেলে ট্রাক ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন (২৫), একই গ্রামের রাজা মিয়ার ছেলে মামুন মিয়া (২২) মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ডেকে নিয়ে পাগলি জরিনা বেগমকে বাড়ির পাশে একটি নির্মাণধীন ভবনের ভিতর জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তারা।
ধর্ষণের পরে পাগলিকে ওই ভবনের ভিতর রেখে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এঘটনায় স্থানীয় মাতাব্বরা ধর্ষকদের কাছে থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে ধর্ষিতা ভাই রাজ্জাক জানান, তার বোনকে বাড়ি থেকে ডেকে একটি নির্মাণধীন ভবনের ভিতর নিয়ে আনোয়ার ও মামুন জোরপূর্বক গণধর্ষণ করেছে। মাতাব্বরা ধর্ষকদের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে তিনি জানান। আমারা গরিব বলে কি? এর কোন বিচার পাবো না।
ধর্ষিতা জানান, আনোয়ার আর মামুন জোর করে আমাকে নষ্ট করছে স্যার ওদের শাস্তি দেন, ওরা খারাপ। তবে ধর্ষকদের কাউকে খোঁজে পাওয়া যায়নি।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, আমার কাছে এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ দেইনি । আমি এখনি এর আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
/পিবিডি/পি.এস
