• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিয়ের তথ্য গোপন করায় তোপের মুখে ছাত্রলীগ সভাপতি!

প্রকাশ:  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৯:০৯
রাজশাহী প্রতিনিধি

কর্মীদের তোপের মুখে পড়ে সভা ছেড়ে পালিয়ে গেলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার এক ছাত্রলীগ নেতা। তার নাম হামিদ রানা। কর্মীদের অভিযোগ, গোদাগাড়ী পৌর ছাত্রলীগের এই সভাপতি বিবাহিত। বিষয়টি গোপনে রেখেই তিনি ছাত্রলীগ কমিটিতে স্থান করে নেন।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পৌর ছাত্রলীগের এক সভায় হামিদ রানাকে প্রত্যাখান করেন কর্মীরা। এ ঘটনার পর সোমবার সকালে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। তাতে লেখেন, বিবাহিত ছাত্রলীগ সভাপতি হামিদ রানাকে প্রত্যাখ্যান করল সাধারণ কর্মীরা।

সম্পর্কিত খবর

    রুবেল লেখেন, গোদাগাড়ী পৌরসভা ছাত্রলীগের বিবাহিত সভাপতি ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধি ও রেসারেসির জেরে আমাকে বরখাস্ত করতে গিয়ে সাধারণ কর্মিদের তীব্র বাধায় ব্যর্থ হলো। এ সময় তৃণমূল ছাত্রলীগ কর্মীরা তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণার দাবি জানালে সে দ্রুত সভাস্থল ত্যাগ করে। আমার প্রতি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমি জেলা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কমিটির কাছে বিচার দাবি করছি।

    জানতে চাইলে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন বলেন, ২০১৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাদের কমিটি গঠন হয়। এর এক বছর পর তিনি জানতে পারেন তার সভাপতি হামিদ রানা বিবাহিত। গোদাগাড়ীর বাসুদেবপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা হক বাবুর বোন আলো রানীকে তিনি বিয়ে করেছেন। এখন তার চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। অথচ গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগ করতে পারবে না।

    রুবেল আরও জানান, ব্যক্তিগত স্বার্থসিদ্ধির জন্য হামিদ রানা এখন তাকে বহিস্কার করতে চান। এ জন্য তিনি বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে বর্ধিত সভা ডাকেন। খবর পেয়ে তিনিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে যান। সেখানে বিবাহিত হওয়ার কারণে উল্টো হামিদ রানাকেই পদত্যাগ করার দাবি ওঠে। তখন দ্রুত সভা ত্যাগ করেন হামিদ রানা।

    স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আরও জানান, হামিদ রানা বিবাহিত হলেও ব্যক্তিগত লাভের জন্য সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ আঁকড়ে আছেন। গোদাগাড়ীর মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তার ওঠাবসা। এছাড়া তিনি থানায় তদবির বাণিজ্যে জড়িত। এভাবে তিনি নিজের আখের গোছাতেই ব্যস্ত।

    জানতে চাইলে ছাত্রলীগ নেতা হামিদ রানা অভিযোগ অস্বীকার করেন। নিজের স্ত্রী ও সন্তান থাকার কথাও অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, রুবেলের ফেসবুক পোস্ট তিনি দেখেছেন। কিন্তু এসব মিথ্যা কথা। তিনি বিয়ে করেননি। কোনো অনৈতিক কাজের সাথেও জড়িত নন। সব সময় ছাত্রলীগের জন্যই কাজ করেন।

    জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, হামিদ রানার বিয়ের খবর তিনিও শুনেছেন। কিন্তু গোদাগাড়ী পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন হয়েছে তিনি সভাপতি হওয়ারও আগে। জেলা ছাত্রলীগের আগের কমিটির সভাপতি রোকনুজ্জামান রেন্টু ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক ফারদিন ওই কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন। তারা উপজেলা নির্বাচনের পর জেলার সব উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করে দেবেন।

    পিবিডি/আর-এইচ

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close