বৃদ্ধ আবেজ উদ্দিন হত্যার তিন খুনি আটক
নওগাঁর ধামইরহাটে শ্বাসরোধ করে বৃদ্ধ আবেজ উদ্দিনকে হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার মূলহোতাসহ ৩ জনকে আটক করেছে থানা পুুলিশ। বৃদ্ধের লুট হওয়া মোবাইল ফোন ট্যাগ করে পুলিশ আসামিদের আটক করে। পরবর্তীতে চুরি যাওয়া দলিলপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রোববার বৃদ্ধ আবেজ উদ্দিনের লুট হওয়া মোবাইল ফোন ট্যাগ করে থানা পুলিশ নওগাঁ জেলা সদরের মুক্তির মোড় থেকে খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার রাতে কামরুল হাসান রিমন (২০) কে আটক করে। রিমনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী ধামইরহাট পৌরসভার অন্তর্গত আমাইতাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলম বাবু (৩৫) আটক করে পুলিশ।
সম্পর্কিত খবর
এ খুনের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নওগাঁর সদর থানার সরাইল মন্ডলপাড়া গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে আলামীন আলীকে (১৯) আটক করে পুলিশ। কামরুল হাসান রিমন ও আলামীন আলী পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদার হিরার শ্রমিক হিসেবে আমাইতাড়া গ্রামে কাজ করছিল।
ধামইরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাকিরুল ইসলাম বলেন, খুনের ঘটনার মুল পরিকল্পনাকারী খোরশেদ আলম বাবুর প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় রিমন ও আলামীন বৃদ্ধ আবেজ উদ্দিনকে হাসনাত চাউল কলের লিচু বাগানে নিয়ে খুন করে। খুন করার পর হাসনাত চাউল কলের অফিস ঘরে ঢুকে আলমারী ভেঙ্গে জমির মূল্যবান দলিল, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই লুট করে নিয়ে যায়। চাউল কলের পার্শে খোরশেদ আলম বাবুর বাড়ি হওয়ার প্রায় সময় বাবুর ছাগল, হাস, মুরগী ধান খাওয়ার জন্য চাতালে আসতো।
এ নিয়ে বৃদ্ধ আবেজ উদ্দিনের সাথে বাবু বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে বাবু বৃদ্ধ আবেজ উদ্দিনকে দেখে নেয়ার হুমকি প্রদান করে। এর জের ধরে আসামিরা যোগসাজসে এ খুনের ঘটনা ঘটায়। পরে পুলিশ আসামিদের বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া দলিলপত্র, ব্যাংকের চেক বই ও বৃদ্ধের মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। মঙ্গলবার বিকালে তাদের নওগাঁ কোর্ট হাজতে চালান করা হয়।
উল্লেখ্য,গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার আমাইতাড়া বাজারে নজিপুর সড়কের পার্শে হাসনাত চাউল কলের কেয়ার টেকার আবেজ উদ্দিন (৭০) কে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাত করে খুন করে নিজ শোয়ার বিছানায় রেখে যায় খুনিরা। ওই চাউল কলের মালিক মো. খালেকুজ্জামান (জামাল) বাদী হয়ে গত রোববার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৫।
/পিবিডি/পি.এস