পরকীয়ার টানে আত্মগোপনে যান সেই পাঁচজন

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একই পরিবারের পাঁচজন নিখোঁজের ঘটনার দশদিন পর চারজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ রাজধানীর কেরানীগঞ্জ ও ব্রাক্ষনবাড়িয়া থেকে তাদের উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জে নিয়ে আসে।

তবে বিষয়টি পরকীয়া প্রেমের জের ধরে পরিকল্পিত আত্মগোপনের ঘটনা বলে পুলিশ জানিয়েছে। বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্য্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, গত ১০ ফেব্রুয়ারি সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মাদানীনগর নুরবাগ এলাকার এমদাদুল হক ভুঁইয়ার বাড়ির ভাড়াটে গার্মেন্টস কর্মকর্তা জামাল সরদারের স্ত্রী ফারিদা ওরফে নীপা ও তার দুই মেয়েসহ একই পারিবারের পাচঁ সদস্য নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে গার্মেন্টস কর্মকর্তা জামাল সরদার সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে। বিষয়টি তদন্তকালে পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে জামাল সরদারের ভায়রার ছেলে নাজিম উদ্দিন ওরফে আজিমকে রাজধানীর দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকার নূরানী মাদ্রাসা থেকে আটক করে।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে জামাল সরদারের বড় মেয়ে আশা মনিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ল্যাবরেটরী আবাসিক স্কুল থেকে, ছোট মেয়ে প্রিয়া মনি এবং ভায়রার মেয়ে সুমাইয়াকে কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার আরো জানান, উদ্ধারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে গার্মেন্টস কর্মকর্তার স্ত্রী ফরিদা ওরফে নীপা পরকীয়া প্রেমের টানে ঘর থেকে টাকা পয়সা ও স্বর্ণলংকার নিয়ে সুমন নামের এক যুবকের সাথে পালিয়ে গেছেন। তবে পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি পরিকল্পিতভাবে ছেলে-মেয়েদের বিভিন্ন স্থানে রেখে যান। পুলিশ এ ঘটনার মূল হোতা পালিয়ে যাওয়া গৃহবধূ ফরিদা ওরফে নীপা এবং তার পরকীয়া প্রেমিক সুমনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।

পিবিডি/আর-এইচ