• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিরল রোগে আক্রান্ত শাবির ছাত্র আরিফ বাঁচতে চায়

প্রকাশ:  ০৯ মার্চ ২০১৯, ১৯:৫৯
সিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের সর্ব্বোচ বিদ্যাপীঠ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সৈয়দ আরিফ সাদিক প্রান্ত (২২) জিবিএস (গুলেন বারি সিনড্রোম) নামক এক বিরল রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বাঁচতে চান। তাকে বাঁচাতে শাবির প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী সিলেট নগরীর বিভিন্ন মসজিদ, রেস্টুরেন্ট ও বিভিন্ন শপিং মহলে টাকা সংগ্রহে নেমেছেন।

জানা গেছে, শাবির কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের ২০১৬-১৭ এর শিক্ষার্থী সৈয়দ আরিফ সাদিক প্রান্ত। পড়াশোনায় মেধাবি এ ছাত্র আক্রান্ত হয়েছেন জিবিএস নামক বিরল রোগে। গত বুধবার সকালে তার সারা শরীর হঠাৎই প্যারালাইজড হয়ে পরে। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তাররা বলেন সে জিবিএস নামক বিরল রোগে আক্রান্ত। সে বর্তমানে ঢাকার ইডেন মাল্টিকেয়ার হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে টানা ৬ মাস চিকিৎসা লাগবে। এ চিকিৎসার ব্যয়বার প্রচুর। প্রতিদিন তার চিকিৎসার ব্যয় হয় প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। এতো টাকা ব্যয় করার সক্ষমতা নেই আরিফের পরিবারের।

সম্পর্কিত খবর

    এজন্য মানবিক দৃষ্টিতে সহপাঠিকে বাঁচাতে টাকা সংগ্রহের অভিযানে নেমেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী। তারা সিলেট নগরীতে বিভিন্ন মসজিদ, খাবারের হোটেল ও বিভিন্ন শপিং মলে টাকা আদায়ের বাক্স নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছেন। সংগ্রহ করছেন টাকা।

    শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে এ প্রতিবেদক নগরীর জিন্দাবাজার এলাকায় তাদের দেখতে পান। এসময় তারা জানান, নগরের বিভিন্ন মসজিদে পবিত্র জুম্মার নামাজের পর অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেখান থেকে টাকা আদায়ের অভিযান শেষ করে বিভিন্ন খাবারের হোটেলের সামন থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে।

    এ প্রসঙ্গে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিপি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী কাইসার হামিদ ও কেমিক্যাল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী মীম বলেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য। আমরা চাই আমাদের বন্ধু সুস্থ হয়ে পুনরায় ভার্সিটি ক্যাম্পাসে ফিরে আসুক। ক্লাস করুক। প্রান্তের চিকিৎসার ব্যয় প্রচুর হওয়াতে তার পরিবারের পক্ষে একা করা সম্ভব নয়। তাঁকে বাঁচাতে সকলস্থরের মানুষদের সহযোগিতা প্রয়োজন। সকলের সাধ্যমতে সহযোগিতা পেলে স্বাভাবিক জিবনে ফিরে আসতে পারবে প্রান্ত।

    জিবিএস রোগ কি?

    জিবিএসের মূল কারণ জীবাণু হলেও প্রকৃতপক্ষে জীবাণু-প্রতিরোধী ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিক আচরণের ফলে এই রোগের উৎপত্তি হয়। আক্রান্ত হওয়ার কদিনের মধ্যেই রোগী হঠাৎ করে প্রথমে দুই পায়ে দুর্বলতা বোধ করে, যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং উপরের দিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। ক্রমে এই দুর্বলতা মেরুদন্ড, দুই হাত, বুক ও মুখের মাংসপেশিতে ছড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো দুর্বলতা এত বেশি হয় যে রোগী হাত-পায়ের আঙ্গুল একটুও নাড়াতে পারে না। বুকের মাংসপেশির দুর্বলতার কারণে শ্বাসকষ্ট হলে রোগীকে আইসিইউ বা ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে’ স্থানান্তর করতে হয়। নইলে রোগী মারাও যেতে পারে।

    এই রোগের নির্দিষ্ট চিকিৎসা হলো প্লাজমাফেরোসিস বা শিরায় ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন। উপসর্গ দেখা দেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যে এ চিকিৎসা দিতে হয়। নয়তো এরপর ইমিউনোগ্লোবিউলিনের কার্যকারিতা থাকে না। তবে এ চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। একে একে পাঁচটি ইনজেকশন দিতে যার প্রতিটির মূল্য প্রায় একলক্ষ টাকা। সেকারণেই সাধারণ রোগীদের জন্য ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা চালানো সম্ভব হয় না। তবে জিবিএস আক্রান্ত রোগী সঠিক চিকিৎসায় সেরে ওঠে। এক্ষেত্রে এক সপ্তাহ থেকে ২ মাস পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

    সৈয়দ আরিফ সাদিক প্রান্তকে সহযোগিতা করতে পারেন ০১৬৭২৫৩১৫৯৬ (বিকাশ), ০১৭৪৭১৩০৮৫৩ (বিকাশ), ০১৬৮৬৭৯৭৫৪৫( বিকাশ), ০১৭৬৫৫৬৪৭৮৬ (বিকাশ), ০১৫২১৪০৭৯৩৯০ (রকেট), ০১৭৭৭৪৪৪৮৮৮০ (রকেট) এই নাম্বারে।

    এছাড়া ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন। মো. নাজমুল আলম, অ্যাকাউন্ট নং, ১২৮.১০৫.২৭৪৮৬, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, শিমরাইল শাখা, নারায়নগঞ্জ। যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে পারেন ফাহাত আজগরের সঙ্গে, মোবাইল ০১৬৭২৫৩১৫৯৬।

    /অ-ভি

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close