নীলফামারীর স্কুলছাত্রী ধর্ষণে আদালতে বৃদ্ধ ধর্ষকের জবানবন্দী
স্কুল ছাত্রী শিশুকে একাকি পেয়ে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষনের ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে ধর্ষক সেরাজুল ইসলাম (৬০)। গত মঙ্গলবার বিকালে নীলফামারীর আমলী আদালত-৬ এর বিচারক সিনিয়র জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাসুদ রানার আদালতে ১৬৪ ধারায় এ জবানবন্দী প্রদান করেন।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত রোববার (১০ই মার্চ) দুপুরে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের তিস্তার নদী সংলগ্ন দক্ষিন ঝাড়সিংহেশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী ও উক্ত ইউনিয়নের পূর্ব ছাতনাই গ্রামের নুর ইসলামের কন্যাকে তার বাবা-মা বাড়িতে রেখে ক্ষেতে কাজ করতে গেলে শিশু কন্যাটি বাড়ির পাশে খেলার সময় একই এলাকার মৃত, জাবেদ আলীর পুত্র একাধিক বিবাহিত সেরাজুল ইসলাম তাকে একাকি পেয়ে জোরপুর্বক ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে।
সম্পর্কিত খবর
সন্ধ্যায় ছাত্রীটির বাবা-মা বাড়িতে ফিরে শিশুটিকে কান্না করতে ও তার অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখতে পেয়ে ছাত্রীটির মুখে বিস্তারিত জেনে রাতে ছাত্রীটিকে ডিমলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করান। ছাত্রীটির অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনের কারনে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক সে রাতেই ছাত্রীটিকে নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালে রেফার্ড করেন।এ ঘটনার পরেরদিন এলাকাবাসী ধর্ষক সেরাজুলকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
নীলফামারী আধুনিক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আসাদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ছাত্রীটিকে ধর্ষনের নমুনা পাওয়া গেছে।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার এসআই মাহাবুব রহমান বলেন, ডিমলা থানায় ছাত্রীটির পিতা নুর ইসলাম বাদী হয়ে মামলা নং-১৩,তারিখ-১১/৩/২০১৯ইং দায়ের করেন। স্কুল ছাত্রীটিকে ধর্ষনের কথা স্বীকার করে ধর্ষক সেরাজুল ইসলাম পুলিশের নিকট প্রথমে ১৬১ ধারায় জবানবন্দী ও পরবর্তীতে আদালতের বিচারকের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দী প্রদান করেন।
পিবিডি/ ইকা