মণিরামপুরে ইউএনও’র পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধাকে প্রতারণা
যশোরের মণিরামপুরে আব্দুস সামাদ নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফীর পরিচয় দিয়ে দুটি নম্বরে বিকাশে তার কাছ থেকে ২৭ হাজার ৩০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে এই সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দেন ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী। এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন তিনি।
সম্পর্কিত খবর
ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন, “উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মনিরামপুর উপজেলায় একটি সঙ্গবদ্ধ প্রতারক চক্র বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিদের নাম/পদবি ব্যবহার করে মানুষকে বোকা বানিয়ে ধোকা দিয়ে বিকাশ এর মাধ্যমে অর্থ আদায় করছে, আজ ১৪/০৩/২০১৯ তারিখ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আব্দুস সামাদ’ কে যথাক্রমে ০১৭৯৫১৬০৩৪৩, ০১৮২৭২২০৫১৫ নাম্বারগুলো হইতে প্রতারনা করে ২৭,৩০০ (সাতাশ হাজার তিনশত) টাকা বিকাশের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।”
মণিরামপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধারা স্বল্প সুদে সোনালী ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা ঋণের সুবিধা ভোগ করছি। মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদকে সেই ঋণ মাপ করে দেওয়ার কথা বলে ইউএনওর পরিচয় দিয়ে বিকাশে টাকা চেয়েছে। আব্দুস সামাদ আমাদের কারও সাথে পরামর্শ না করে বিকাশের দুইটি নম্বরে ২৭ হাজার ৩০০ টাকা পাঠিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। আমরা প্রতারক চক্রটিকে যে কোন মূল্যে ধরার চেষ্টা করছি।’
ইউএনও আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে আমার দপ্তরে এসে উপজেলার খানপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ জানান, স্যার টাকা পাঠিয়েছি। বিষয়টি জানতে চাইলে আব্দুস সামাদ বলেন, স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে মণিরামপুরের ইউএওর পরিচয় দিয়ে দুই লাখ টাকা ঋণ পাশ করে দেওয়ার কথা বলে। ফোনে বলা হয় ঋণ পাশ করাতে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় কমান্ডারকে টাকা দিতে হবে। এই বলে আমার কাছে টাকা চাওয়া হয়। চক্রটি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদকে দুইটি নম্বর-০১৭৯৫১৬০৩৪৩, ০১৮২৭২২০৫১৫ দিয়ে বিকাশ করে টাকা পাঠাতে বলে। তখন তিনি ওই দুই নম্বরে ২৭ হাজার ৩০০ টাকা দিয়েছেন।
ইউএনও আরও বলেন, একইভাবে খানপুর ইউপির সব মেম্বরকে ফোন দিয়েছিল চক্রটি। দুই জন মেম্বর আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। আমি তাদেরকে নিষেধ করে দিয়েছি। কিন্তু মেম্বর গোলাম আমাকে এই বিষয়টি জানায়নি।
তিনি বলেন, আমি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদকে একটা লিখিত অভিযোগ করতে বলেছি। তিনি অভিযোগও দিয়েছেন। বিকেলে অভিযোগ পত্রটি থানা পুলিশে রেফার করে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। শুক্রবার থেকে পুলিশ কাজ শুরু করবে।
পিবিডি/আর-এইচ