চলনবিলে ক্ষীরা চাষে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে
সিরাজগঞ্জের চলনবিল অধ্যুষিত সলঙ্গা থানার বিভিন্ন স্থানে ক্ষীরা চাষাবাদে বিপ্লব ঘটেছে। এবার ক্ষীরার বাম্পার ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হাজার হাজার মেট্রিক টন ক্ষীরা সরবরাহ করছে।
জানা গেছে, চলনবিল এলাকা রায়গঞ্জ, তাড়াশ, সলঙ্গা, উল্লাপাড়া, শাহজাদপুর, ভাঙ্গুড়া, চাটমোহরের অনেক কৃষক অধিক লাভের আশায় এবার এই ক্ষীরা চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এ বছর চলনবিল এলাকার কয়েক শতক হেক্টর জমিতে কৃষকরা ক্ষীরা চাষাবাদ করেছে। গত বছরের চেয়ে এবার আরো ক্ষীরা চাষে চাষীরা লাভবান হচ্ছে। প্রতি মন ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকয় বিক্রি করছে বলে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সলঙ্গা
সম্পর্কিত খবর
থানার হাটিকুমরুল রোড ক্ষীরার মোকামের ব্যবসায়ীরা জানায়, বিগত কয়েক বছরে মন প্রতি ৪০০ হতে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এবার সর্বোচ্চ চড়া দাম থাকায় আমদানিও বেশি হচ্ছে। সলঙ্গার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের হাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল মালেক জানান, সে এবার ৫ বিঘা জমিতে ক্ষীরা চাষ করেছে। এ পর্যন্ত আড়াই লাখ টাকার বেশি ক্ষীরা বিক্রি করেছে। হাটিকুমরুল রোডে বিখ্যাত ক্ষীরার মোকামে আসা অনেক কৃষকেরা বলেছেন এই ক্ষীরা চৈত্র মাসেও বিক্রি করা যাবে।
শাহজাদপুরের ব্যাপারী আব্দুল হাই, কৈজুরির ব্যাপারী আব্দুল গফুর, বেলকুচির ব্যাপারী আলামিন, টাঙ্গাইলের ব্যাপারী হান্নান, ভূয়াপুরের ব্যাপারী সামাদ ও জামালপুরের ব্যাপারি মোন্নাফ সহ অনেক ব্যবসায়ী জানান, যে দামে হাটিকুমরুল রোডের মোকাম থেকে ক্ষীরা কিনে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি করছি। এতে লেবার খরচ, পরিবহন ভাড়া, খাজনা সহ অন্যান্য খরচ বাদে তেমন লাভ থাকে না।
উল্লাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার খিজির হোসেন জানান, এ বছর উপজেলায় কৃষকদের ক্ষীরা চাষে ব্যাপক ভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে। তাই সলঙ্গা-উল্লাপাড়ায় ব্যাপক ক্ষীরা চাষ হয়েছে। তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম জানান, এবারে উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে কৃষকেরা ক্ষীরা চাষ করেছে। ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ক্ষীরা চাষীদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠেছে।
পিবিডি/এসএম