সাগরে অর্ধশত ট্রলারে ডাকাতি
কক্সবাজারের টেকনাফে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যু বাহিনীর হাতে অর্ধশত মাছ ধরার ট্রলার ডাকাতির শিকার হয়েছে। এসময় জেলেদের মারধর, মাছ ও জাল লুট করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে বঙ্গোপসাগরের সেন্টমাটিন উপকূলে ২৫টি মাছধরার ট্রলার ডাকাতির শিকার হয়। এর আগে আরো ২০/২৫টি মাছধরার ট্রলারে ডাকাতি করা হয়েছিল বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর
ডাকাতির শিকার ট্রলারের মালিকরা হচ্ছেন মো. কাশেম, এমদাদ উল্লাহ মাঝি, জাহেদ উল্লাহ, নুরুল ইসলাম, বাদশা মিয়া, মো. বাবুল, মো. হাসান, মো. জাফর, মো. সিরাজ, মো. মিজান। তারা টেকনাফের সাবরাং, শাহপরীর দ্বীপ ও সদরের বাসিন্দা।
সোমবার দুপুরে শাহপরীর দ্বীপ মৎস্যজীবী অগ্রণী বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হাসান বিষয়টি নিশ্চত করে জানান, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ২৫টির বেশি ট্রলার ডাকাতির শিকার হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগরে জেলেরা জাল ফেলে অপেক্ষা করছিল। সকাল ১০টার দিকে হঠাৎ দুইটি ট্রলারে ২০-২৫ জনের একটি বাহিনী অস্ত্র নিয়ে ট্রলারে হামলা করে। এসময় জাল ও মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ বিষয়টি স্থানীয় কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে।
সাবরাং ইউপি সদস্য ফজলুল হক বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া শাহপরীর দ্বীপের ২৫টির মতো ট্রলার ডাকাতির শিকার হয়েছে। এর আগে আরো অনেক ট্রলার ডাকাত দলের খপ্পরে পরে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
ডাকাতির শিকার বোট মালিক মো. কাশেম বলেন, সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলার সোমবার ভোরে ডাকাতির শিকার হয়। এসময় জেলেদের মারধর করে ট্রলারে থাকা মাছ ও জাল লুট করে নিয়ে যায়। এতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে ডাকাতের ভয়ে জেলেরা মাছ ধরতে যাচ্ছে না।
র্যাব-১৫ টেকনাফ ক্যাম্প ইনচার্জ লে. মির্জা শাহেদ মাহতাব বলেন, সাগরে মাছধরার ট্রলার ডাকাতির খবর শুনেছি, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
/পিবিডি/পি.এস