ভোলায় আ.লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, গ্রেফতার ৯
ভোলার তজুমদ্দিনে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় ভাঙচুর করা হয়েছে উভয় গ্রুপের অন্তত ৪টি নির্বাচনী অফিসসহ বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই পক্ষের নয়জনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন- মো. সবুজ, শিবলু, সেলমি, জসিম, জাহাঙ্গীর, আব্দুল মান্নান, নিরব, মো. আইয়ুব, সোলেমান।
সম্পর্কিত খবর
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে উপজেলার চাচড়া ইউনিয়নের কাটাখালী বাজারে নির্বাচনী প্রচারণার সময় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা এবং আওয়ামী লীগ এর বিদ্রোহী প্রার্থীর আনারস মার্কার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। থেমে থেমে রাতভর চলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ। আস্তে আস্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে ইউনিয়ন পরিষদ সামনের বাজার, মঙ্গল সিকদার ও চাচড়া বাজারে। এসময় একে অপরের উপর দেশিয় ধারালো অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। এতে নৌকা ও আনারস মার্কার অন্তত ৪টি নির্বাচনী অফিস ও একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বেশ কয়েকটি মটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভোর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য ঘটনাস্থল থেকে ৯ জনকে আটক করেছে। বর্তমান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এদিকে এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল হক দেওয়ান এবং বিদ্রোহী আনারস মার্কার প্রার্থী মোশারেফ হোসেন দুলাল একে অপরকে হামলা, ভাঙচুরের জন্য দায়ী করেন।
তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুক আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনা শুনে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ঘটনায় নয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উভয় পক্ষের ৪টি মামলা হয়েছে। নৌকার পক্ষে মামলা করেন মো. নান্নু এবং আনারসের পক্ষে ৩ টি মামলা হয়েছে। বাদীরা হচ্ছেন মো. রাসেল, মো. ফারুক ও মো. রুবেল।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার লক্ষে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানান ওসি।
/অ-ভি