আখাউড়া সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর পর্যায়ে বৈঠক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)’র সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়েছে।
বুধবার (২০ মার্চ) অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সৌজন্য সাক্ষাতসহ আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ, নারী ও শিশু পাচার, অস্ত্র চোরাচালান ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে উভয়পক্ষ সীমান্তে অপরাধ দমনে পারস্পরিক সহযোগিতা ও সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সম্পর্কিত খবর
সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত আগরতলা-আখাউড়া সীমান্তের স্থলবন্দরের বিজিবি কোম্পানী সদরের ভিআইপি লাউন্সে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুমিল্লা সেক্টরের অধিনায়ক কর্নেল মো.আলীমুল করিম চৌধুরী এবং বিএসএফ’র পক্ষে সেক্টর কমান্ডার গোকুলনগর ডিআইজি ব্রজেস কুমার নেতৃত্ব দেন।
এসময় বিজিবি ২৫ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল গোলাম কবীর এবং বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মি. রতেস উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ব্যাটালিয়ন সূত্রে জানা গেছে, অত্যন্ত আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত উভয় সেক্টর কমান্ডারের সৌজন্য সাক্ষাত ও বৈঠকে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
এর মধ্যে সীমান্ত এলাকায় সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধ দমনে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উভয় পক্ষ জোরদার ভূমিকা রাখার ব্যাপারে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। বিশেষ করে আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, নারী ও শিশু পাচার, অবৈধ অস্ত্র চোরাচালান, অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং মাদকদ্রব্য চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে অধিকতর সহযোগিতামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ব্যাপারে উভয় পক্ষ একমত পোষণ করেন।
বৈঠকে সীমান্তে সম্প্রীতি বজায় রাখা, যে কোনো সমস্যার দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী ভূমিকা রাখা এবং সীমান্তে বসবাসকারী জনগণের নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষাকল্পে বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে ২৫ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল গোলাম কবীর পূর্বপশ্চিমকে বলেন, দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে আস্থা, আন্তরিকতা, মনোবল ও সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধিতে নিয়মিত আলোচনা অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন খেলাধুলা প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং সামাজিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রয়াসে দ্বি-পাক্ষিক সফল আলোচনা হয়।
এর আগে সীমান্তের নোম্যান্সল্যান্ডে বিএসএফ-এর প্রতিনিধি দলকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা ও ডিআইজিকে গার্ড অব অনার প্রদান করে বিজিবি কর্তৃপক্ষ।
পিবিডি/আর-এইচ