দাগনভূঞার শতবর্ষী সিলোনীয়া পুকুর জবর দখলে অস্তিত্ব সংকটে
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বৃহৎ সিলোনীয়া বাজার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের সামনের শতবর্ষী পুকুরটিতে ময়রা আবর্জনা ও জবর দখলে জনস্বার্থ এখন হুমকির মুখে। ৬০ শতাংশ পরিমাপের পুকুরটির পাড়ে স্থাপিত হোটেলের পঁচাবাঁসী খাবার, রান্নার ছাই, তরিতরকারীর উচ্ছিষ্টসহ বাজারের দোকানীরা প্রতিনিয়তই ময়লা আবর্জনা ফেলে এ ভরাট কাজ চালাচ্ছে। জায়লস্কর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আওতাধীন পুকুরটির এমন করুণ মৃত্যুর কান্না কানে যাচ্ছে না ভূমি ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের। চোখে পড়ছেনা ভরাটের দৃশ্য।
ময়লা আবর্জনায় বাজারের এই শতবর্ষী পুকুরটির পানি এমন দূষিত ও দূর্গন্ধ পূর্ণ হয় যে এর পানি ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। বাজারের দোকানের ময়লা আবর্জনায় পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়ায় পুকুরের পানি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। পুকুরটি আবর্জনা স্তুপে ও জবর দখলে একসময় অস্তিস্ব হারিয়ে যাবে।
সম্পর্কিত খবর
এদিকে পুকুর ভরাটের সুযোগ নিয়ে পুকুরের জায়গায় অস্থায়ী ঘর তৈরী করে গ্রাস করে চলেছে প্রভাবশালীরা।
সিলোনীয়ার ব্যবসায়ী ও সমাজ চিন্তাশীল কিষান মোশারফ জানান, বাজারে অগ্নি জনিত কোন দুর্ঘটনা ঘটলে এ পুকুরের পানিই হবে একমাত্র ভরসা।
মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী মফিজুর রহমান জানান, মূলত হোটেলের ময়লা আবর্জনাই পানি দূষণের অন্যতম কারণ। এক সময় বাজারের ব্যাবসায়ী, রিকশাওয়ালা, দিনমজুর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ এখানে গোসল করতো। এখন এর পানি এমনই অস্বাস্থ্যকর মুসল্লিরাও ওজু করতে পারে না। এই দূষিত পানিই হোটেলের রান্নার কাজে ব্যবহার হয়ে আসছে।
জায়লস্কর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা করিম উল্ল্যা মজুমদার জানান, পুকুরের পানি দূষণ রোধে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে ৩ বস্তা চুন প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে হোটেলের ময়লা ফেলা ও দখল বিষয়ে তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন বলে জানান।
শতবর্ষী এই পুকুরটি রক্ষায় এখনই প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ প্রয়োজন এবং দখল উচ্ছেদ করে পুকুরের ব্যবহারিক ঐতিহ্য পুণরুদ্ধার একান্ত প্রয়োজন বলে এলাকাবাসী মনে করেন।
পিবিডি/এসএম