২ মাসেও ধরাছোঁয়ার বাইরে আরাফাতের খুনিরা
ফেনী শহরের পাঠান বাড়ি এলাকায় সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত হত্যাকারীদের প্রায় দুইমাসেও ধরতে পারেনি পুলিশ। আরাফাতের বাবা জসিম উদ্দিন জানান, ২৮ জানুয়ারি পাঠানবাড়ি এলাকা থেকে সাব্বির হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান সাব্বিরকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসাইনের আদালতে হাজির করলে হত্যাকেণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে সাব্বির সেদিন রোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দেয় ও জড়িত ৪/৫ জনের নাম প্রকাশ করে। তিনি এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ করেন।
জবানবন্দিতে সাব্বির আরো জানায়, মুন্না, তুহিন ও সাব্বিরসহ চারজনে মিলে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে ইট দিয়ে মাথা থেতলে দেয় ও ডান পা ভেঙ্গে ফেলে। লাশ গুম করতে মাটি চাপা দেয়।
সম্পর্কিত খবর
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহজাহান জানান, ঘটনায় জড়িতের ধরতে তাদের বাসায় ও সম্ভাব্য স্থানগুলোতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে যাদের নাম এসেছে তারা সবাই ফেনী ছেড়ে পালিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত; আরাফাত ২৭ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে শহরের মমিন জাহান মসজিদ সংলগ্ন বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন পাঠানবাড়ি এলাকার জেবি টাওয়ারের পাশ্ববর্তী জমি থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আরাফাতের মা বিবি রাবেয়া বাদী হয়ে সাব্বিরকে প্রধান আসামি করে ফেনী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।