ঝালকাঠিতে ভোটার উপস্থিতি কম, এক প্রার্থীর ভোট বর্জন
পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ঝালকাঠির চার উপজেলার ২৩৭টি কেন্দ্রে শেষ হয়েছে ভোট গ্রহণ। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে ভোটর উপস্থিতি কম ছিল। কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারদের সাজানো লাইনও দেখা গেছে। প্রার্থীদের সমর্থকরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন, কিন্তু ভোট দিচ্ছেন না। অলস সময় পার করছেন ভোট গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
এদিকে অনিয়ম ও কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট প্রদানের অভিযোগে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ রাজ্জাক আলী সেলিম ভোট বর্জন করেছেন। দুপুর পৌনে দুইটায় তিনি বাউলকান্দা গ্রামের বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। নির্বাচনকে প্রহসন, মানুষের অধিকার হরণ ও অগণতান্ত্রিক দাবি করে তিনি বলেন, একটি প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারেনি। সন্ত্রাসীরা ভোট কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিয়েছে। সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন হচ্ছে। আমি সংঘাত চাই না, তাই প্রতারণার এ নির্বাচন বর্জন করলাম।
সম্পর্কিত খবর
ইতোমধ্যে নলছিটি উপজেলায় বিনাপ্রতিদ্বন্ধীতায় আওয়ামী লীগ মনোনীত সিদ্দিকুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মফিজুর রহমান শাহিনের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তাজুল ইসলাম দুলাল চৌধুরী।
তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুরের পর থেকে উপজেলার সবগুলো কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিচ্ছেন শাহিনের কর্মীসমর্থকরা। এ বিষয়ে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করেও কোন সুফল পাইনি।
এছাড়াও জেলার রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া উপজেলার বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোট কারচুপির অভিযোগ করেছেন প্রার্থীরা।
জেলায় চেয়ারম্যান পদে ১০জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৬জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১২জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলায় মোট ভোটার রয়েছে চার লাখ ৬৯ হাজার ৪০২ জন।