নীলফামারীতে শিশু ধর্ষণকারীকে ধরিয়ে দিল এলাকাবাসী
নীলফামারী জেলা সদরে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে হজরত আলী (২০) নামে হোটেল শ্রমিক এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুরের জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করে। রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে নীলফামারী সদর থানায় মামলা দায়ের করলে সোমবার সকালে আদালতের মাধ্যমে হজরত আলীকে করাগারে পাঠায় পুলিশ। সে ওই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে।
সম্পর্কিত খবর
শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, দুপুরে আমার মেয়ে বাড়িতে খেলছিল। এসময় প্রতিবেশী হজরত আমার মেয়েকে ডেকে তার বাড়িতে নেয়। আধা ঘন্টাপর মেয়েকে কান্নারত অবস্থায় দিয়ে যায় হজরত। এসময় মেয়ে পায়খানা করতে বসলে প্রস্্রাব নালী ও পায়খানার দ্বার দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে।
প্রতিবেশীরা জানায়, শিশুটির রক্তক্ষরণ দেখে হজরত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় বিষয়টি বুঝতে পেরে এলাকার লোকজন তাকে আটক করে রেখে শিশুটিকে হাসপাতালে পাঠায়। পরে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়।
গোড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম বলেন, আমি খবর পেয়ে বিষয়টি থানায় জানাই। পুলিশ এসে হজরতকে আটক করে থানায় নেয়।
শিশুর বাবা বলেন, প্রতিবেশী হজরত আমার হোটেলের কর্মচারী। সে সুবাদে আমার বাড়িতে আসা যাওয়া আছে তার। রোববার দুপুরে মেয়েকে বেড়াতে নেওয়ার নাম করে তাদের বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছি আমি।
নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক শাহিন নওরোজ বলেন, শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এরশাদুল আলম বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হজরত আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে সে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী শেষে বিচারকের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পিবিডি/আর-এইচ