• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নেশা করিয়ে ‘প্রভাবশালী’দের বাড়িতে পাঠানো হতো মেয়েদের!

প্রকাশ:  ২১ নভেম্বর ২০১৮, ০০:৫৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতের উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া হোমের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় ফের সামনে এল চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।

জানা যায়, হোমের মেয়েদের নেশা করিয়ে ‘প্রভাবশালী’ অতিথিদের বাড়িতে পাঠানো হত। নির্যাতিতাদের জবান রেকর্ড করে একের পর এক তথ্য সামনে নিয়ে আসছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। জবান রেকর্ড করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের উইমেন সেলে। পরে এই তথ্যগুলির ভিত্তিতে ইলাহাবাদ হাইকোর্টে চার্জশিট জমা করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর

    হোমেরই ১২ বছরের এক নির্যাতিতার অভিযোগ, ছেলেদের কাছে পাঠানোর আগে আমাদের কোনও একটা ওষুধ খাওয়ানো হতো। উনি বলতেন, এই ওষুধটা খেলে তোমাদের আর ব্যথা করবে না।

    ১৩ বছরের আর এক নির্যাতিতার অভিযোগ, ম্যাডাম আমাদের বকাবকি করতো। আর বলতো, পুলিশের সামনে কিচ্ছু বলবি না। বললেই মেরে ফেলব। আর প্রভাবশালী লোকজন আসলেই তাদের সঙ্গে ফুর্তি করবি।

    গত অাগস্টেই দেওরিয়া হোমের যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় গোটা ভারত জুড়ে। দিনের পর দিন অত্যাচার সইতে না পেরে ১১ বছরের এক নাবালিকা হোম থেকে পালিয়ে এসেছিল। আর তার পরেই সে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল।

    সে সময় পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছিল, মা বিন্দাবাসিনী মহিলা এবং বালিকা সংরক্ষণ গৃহ’ নামের ওই হোমই ছিল ৪২ জন আবাসিকের ঠিকানা। ২৪ জন আবাসিককে উদ্ধার করতে পেরেছিল পুলিশ। তবে খোঁজ মেলেনি আরও ১৮ জনের। মূলত ১৫-১৮ বছর বয়সী মেয়েরাই থাকত সেখানে। সরকারি সাহায্যের পাশাপাশি হোমটি চালাতেন গিরিজা ত্রিপাঠী এবং মোহন ত্রিপাঠী নামের এক যুগল। হোম থেকে পালিয়ে আসার পর ১১ বছরের মেয়েটি যে ম্যাডামের কথা বলেছিল তিনি আসলে গিরিজা ত্রিপাঠীই।

    ২০১৭ তে ভারত জুড়ে বিভিন্ন হোমে যখন তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছিল সিবিআই, সে সময় দেওরিয়ার এই হোমের বেশ কিছু অনিয়ম সামনে আসে। তার পরেই সরকারি স্বীকৃতি বাতিল করে দেওয়া হয় হোমটির। কিন্তু তারপরেও ত্রিপাঠী দম্পতি হোমটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গ্রেফতার করা হয় ত্রিপাঠী দম্পতি ও তাদের মেয়েকে। তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়েরও করে পুলিশ।

    /অ-ভি

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close