• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মৃত্যুর কাছে হেরে গেল জোড়া লাগানো দুই বোন

প্রকাশ:  ২০ মার্চ ২০১৮, ১৩:০৮ | আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৮, ১৩:৩৭
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে জীবনের সঙ্গে প্রায় সাড়ে ৩ মাস যুদ্ধ করে মৃত্যুর কাছে হেরে গেল পেটে জোড়া লাগানো দুই বোন আয়েশা ও খাতিজা। সোমবার সকালে শ্রীনগর উপজেলার দোগাছি এলাকার নিজ বাড়িতে তাদের মৃত্যু হয়।

স্থানীয়রা জানান, গত বছরের ৫ই ডিসেম্বর দোগাছি এলাকার আবু কালামের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার ঢাকার কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকার আদ্-দ্বীন হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যমজ দুই মেয়ে আয়েশা আক্তার ইতি ও খাতিজা আক্তার স্মৃতির জন্ম দেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও ধানমন্ডির একটি প্রাইভেট হসপিটালে ছুটে যান যমজ শিশুর বাবা আবু কালাম। সেখানকার চিকিৎসকরা জোড়া লাগানো যমজ বোন আয়েশা ও খাতিজার মাথা দুইটি, আলাদা আলাদা দুইটি করে পা ও দুইটি করে হাত থাকলেও হার্ট ও লিভার একই (একটি) এবং এর চিকিৎসা ব্যয়বহুল জানিয়ে হাসপাতালে ভর্তি নিতে অপরাগতা জানায়।

সম্পর্কিত খবর

    এদিকে, শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে ইতি ও স্মৃতিকে এনআইসিইউ করাতে ৭ই ডিসেম্বর ঢাকার ধোপখোলার আজগর আলী নামে একটি প্রাইভেট হসপিটালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তিনদিনে দেড়লাখ টাকা চিকিৎসার খরচ দিয়ে ৯ই ডিসেম্বর আয়েশা ও খাদিজাকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের বাড়িতে নিয়ে আসেন আবু কালাম দম্পত্তি। এই খবর জেনে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানার নির্দেশে শ্রীনগর উপজেলা ইউএনও মো. জাহিদুল ইসলাম এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মাহফুজা পারভীন ১৪ই ডিসেম্বর জোড়া লাগানো যমজ বোনকে দেখতে ছুটে যান দোগাছির বাড়িতে এবং দুইবোনের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা। এরপর সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহায়তায় গত বছরের ১৭ই ডিসেম্বর তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৬ দিন চিকিৎসার পর তাদেরকে ২৪শে ডিসেম্বর নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে তাদের পরিবার।

    চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বাবা আবু কালাম জানান, বয়স বাড়ার পর তাদের আলাদা করার পরামর্শ দেয় চিকিৎসকরা। এরপর আয়েশা ও খাতিজাকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। সোমবার সকালে মৃত্যুর দুইমিনিট আগেও আয়েশা ও খাতিজা স্বাভাবিকভাবে খাবার খায়। এরপরই যজম দুইবোন মারা যায়।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close