• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

'বারবার কেন ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী'

প্রকাশ:  ২৬ মে ২০১৮, ১৭:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থই উদ্ধার হচ্ছে না। তবে বারবার কেন প্রধানমন্ত্রী ভারতে যাচ্ছেন, জনগণের মধ্যে নানা গুঞ্জন আছে।

শনিবার (২৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয় দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

সম্পর্কিত খবর

    অভিযানের ব্যাপারে তিনি আরও বলেন, আমরাও চাই মাদক বন্ধ হোক। কিন্তু এই মাদক বিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে আজকে যে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলছে তা কোনোমতেই গ্রহণযোগ্য নয়। যাদের মারা হচ্ছে, তারা যদি সত্যিকারের মাদক ব্যবসায়ী হয় তাহলে তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে গডফাদারদের তথ্য অবশ্যই পাওয়া যাবে।

    বিএনপি মাদক বিরোধী অভিযানের বিরোধিতা করে সরকারের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মোশাররফ বলেন, আমরা অভিযানের বিরোধিতা করি না। আমরা পদ্ধতির বিরোধিতা করি। তাদের গ্রেফতার করা হোক। আইনে সোপর্দ করা হোক। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গডফাদারদের নাম বের করা হোক। এদেশের সাধারণ মানুষ পর্যন্ত জানে মাদকের সম্রাট কারা। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পর্যন্ত সংসদে বলেছেন- এই পার্লামেন্টেই মাদকের গডফাদার আছে। এদের আজকে ধরা হয় না, ধরা হয় ছোট খাটো যারা মাদক বহন করে। তাদের খুন করা হয়। এর মধ্যে কোনও বাহাদুরি নাই। মূল উৎপাটন করা না গেলে এদেশে মাদক বিরোধী আন্দোলন সফল হবে না।

    সরকারের বিভিন্ন সংস্থা মাদক বিরোধী অভিযানের নামে বাণিজ্য করছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, এই অভিযানের নামে অনেক বাণিজ্য হচ্ছে। এসব বন্ধ করতে হবে। এই গণবিরোধী, স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে। এই স্বৈরাচারী সরকারের পতন ছাড়া এদেশে গণতন্ত্র পুনরু দ্ধার সম্ভব হবে না।

    খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র, খালেদা জিয়া ও নির্বাচন একই সূত্রে গাঁথা। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এজন্য আমাদের আন্দোলন করতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।’

    তিনি বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ ও নরম কর্মসূচির মাধ্যমে স্বৈরাচার বিদায় হয়নি। দেশে গণঅভ্যুত্থান হবে সময়মতো। তারিখ নির্ধারণ করে সেটা হবে না। কোটা পদ্ধতির আন্দোলন তারিখ নির্ধারণ করে হয়নি। আগামীতে জনগণকে নিয়ে ছাত্র-যুবকরা স্বৈরাচারের পতন ঘটাবে। সেই দিনের প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’

    সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, যুবদলের নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের আকরামুল হাসান প্রমুখ।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close