• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

মিনায় ২০ লাখ হাজির কণ্ঠে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’

প্রকাশ:  ১৯ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৪০
নিজস্ব প্রতিবেদক

সৌদি আরবে পবিত্র হজের পাঁচ দিন ব্যাপি আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। সারা বিশ্বের প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজের অন্যতম ফরজ আদায়ের জন্য এখন সৌদী আরবের মিনায় জড়ো হয়েছেন। মিনা থেকে তারা যাবেন আরাফাত ময়দানে। সোমবার সেখানে শুরু হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

হজ আনুষ্ঠানিকতার প্রথম দিন ৮ জিলহাজ মক্কার মিনায় ইহরাম বেঁধে ২০ লাখ হাজির হয়েছেন।এইদিন মিনায় অবস্থান করা সুন্নত। সেলাইবিহীন দুই টুকরা সাদা কাপড় পরে সমবেত কণ্ঠে তারা বলছেন, ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ানিনমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা।’

সম্পর্কিত খবর

    মিনায় এসে বড় শয়তানকে পাথর মারা, দমে শোকর বা কোরবানি ও মাথা মুন্ডন বা চুল ছেঁটে মক্কায় গিয়ে কাবা শরিফ তাওয়াফ ও সাফা-মারওয়া সাঈ করবেন। তাওয়াফ ও সাঈ শেষে আবার মিনায় ফিরে ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করবেন। সেখানে প্রতিদিন তিনটি শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন তারা।

    প্রতিবছর হজের সময় মুসল্লিদের অস্থায়ী আবাস হিসেবে মিনায় বসানো হয় লাখ লাখ তাবু। এবারও এক লাখ ১৪ হাজার তাবুর নিচে প্রায় ১৪৪ ঘন্টা অবস্থান করবেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হজযাত্রীরা। সেই সব লাল পাথরের পাহাড় ঘেষা চৌচালা তাঁবুর নিচে মুসল্লিদের লাব্বায়েক ধ্বনিতে মুখরিত পবিত্র মিনা নগরী।

    মিনার এই পাহাড়ের উপত্যক্যায় মদিনা থেকে এসে মহানবীর হাতে শপথ পড়েন একদল মুসল্লি। যারা পরে ফিরে গিয়ে পরিবেশ তৈরী করেন মদিনায় মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম এর হিজরতের।

    অন্য দেশের হাজিদের মতো বাংলাদেশের ১ লাখ ২৭ হাজার হজযাত্রীদের নিয়ে মিনায় অবস্থান করছেন বাংলাদেশের ধর্মমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের কয়েকজন সদস্য। মিনার ৭ টি জোনের মধ্যে বাংলাদেশের হাজিরা মূলত আছেন ২, ৫ এবং ৬ নম্বর জোনে।

    ইসলামের ৫ স্তম্ভের অন্যতম পবিত্র হজ। সোমবার পবিত্র আরাফাতের ময়দানেই শুরু হচ্ছে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় জমায়েত। বর্তমান সময়ে ৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পাঁচদিনব্যাপী হজ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হয়ে থাকে। নবী পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৭ জিলহজ হজের সূচনা খুতবার মাধ্যমে করেছিলেন এবং তিনি (সা.) ১৩ জিলহজ মিনা ত্যাগ করেছিলেন। সাহাবাগণের মধ্যে যারা ১২ জিলহজ মিনা ত্যাগ করতে চেয়েছিলেন তাদেরকে সূর্যাস্তের পূর্বে তিন জামারায় পাথর নিক্ষেপ শেষ করে মিনা ত্যাগ করার অনুমতি দিয়েছিলেন। ফলে একালে ৮-১২ জিলহজ হজ কার্যক্রম চলছে। স্বল্প সংখ্যক হাজী ১২ জিলহজ মিনা অবস্থান করে ১৩ জিলহজ তিন জামারায় পুন: পাথর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করেন।

    এএইচ

    লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close