• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

নতুন কলরেট নিয়ে গণশুনানির দাবি

প্রকাশ:  ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:৪৩
নিজস্ব প্রতিবেদক

নতুন কলরেট নিয়ে গণশুনানি ও নতুন করে কস্ট মডেলিংয়ের ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভয়েস কলরেট বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মুক্ত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

সম্পর্কিত খবর

    বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের সভাপতি হারুনুর রশিদ, সামাজিক আন্দোলনের সদস্য হুমায়ন কবির হিরু, বাসদ নেতা রাজ্জেকুজ্জামান রতন, এনডিপি সভাপতি মাহমুদুর রহমান প্রমুখ।

    সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়নের (আইইটিইউ) সহায়তায় সর্বপ্রথম ২০১০ সালে বিটিআরসি দেশে ভয়েস কলের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন রেট বেঁধে দেয়। সেই সময় নিয়ন্ত্রক সংস্থা একটি কস্ট মডেলিংও করেছিল। কিন্তু গত ১৪ আগস্ট হঠাৎ করে বিটিআরসি প্রজ্ঞাপন জারি করে গ্রাহকদের ম্যাসেজের মাধ্যমে জানায় এখন থেকে ভয়েস কলরেটে ‘অননেট’ ‘অফনেট’ থাকছে না। যেখানে সর্বনিম্ন ৪৫ পয়সা আর সর্বোচ্চ সিলিং রেট ২ টাকা থাকবে। আর যুক্তি হিসেবে বলা হয় অননেট অফনেট এক হওয়াতে মনপোলি ভাঙা যাবে। যে যুক্তি খুবই হাস্যকর। গ্রাহকদের এখন ২৫ পয়সার জায়গায় ৪৫ পয়সা দিতে হচ্ছে। আর সর্বোচ্চ নেয়া হচ্ছে ২ টাকা। তাহলে কার লাভ হচ্ছে এই নতুন কলরেটে?

    সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে সক্রিয় সিমের সংখ্যা ১৫ কোটি ২৫ লাখ। এর মধ্যে বিটিআরসির হিসেব মতে অফনেটে কল হয় গ্রামীণে ৯০ শতাংশ, রবিতে ৭১ শতাংশ, বাংলালিংকে ৬৯ শতাংশ ও টেলিটকে ১০ শতাংশ। অর্থাৎ নিয়ন্ত্রক সংস্থার হিসাবও যদি ধরা হয় তাহলে দেখা যায় বর্তমান রেটে অতিরিক্ত বিল আদায় হচ্ছে ৫০ শতাংশ।

    এত তথ্য উপাত্ত থাকার পরও স্টেক হোল্ডারদের মতামত না নিয়ে কোনো কস্ট মডেলিং বা গণশুনানি না করে গ্রাহকদের উপর অতিরিক্ত বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয়ার তীব্র নিন্দা জানান তারা।

    সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষ থেকে ৯ দফা দাবির তুলে ধরা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-

    অফ নেট, অন নেট প্রথা বাতিল করে, সরাসরি একক কল লাইন চালু করতে হবে।

    কলরেট ২৫ পয়সা বা তারও কম করা যায় কিনা তার জন্য গণশুনানি ও নতুন করে কস্ট মডেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

    টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে গ্রাহক সুরক্ষা দেয়ার জন্য একটি আলাদা আইন ও কমিশন তৈরি করতে হবে।

    কলরেটের ক্ষতিপূরণ গ্রাহককে দ্রুত ফেরৎ দিতে হবে।

    নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা আগামী ১ মাসের মধ্যে ঠিক করতে হবে।

    চলতি বাজেটে পাশ হওয়া ইন্টারনেটের উপর ১০শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা কেন বাস্তবায়ন হয়নি তার ব্যাখ্যাসহ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

    প্রমোশনাল ম্যাসেজ যত্রতত্র পাঠানো বন্ধের নির্দেশ অপারেটররা কেন বাস্তবায়ন করছে না তার ব্যাখ্যা ও এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

    এমএনপি চালুর আগে অপারেটর পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ৩০ টাকা আদায়ের সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ভ্যাট কে দেবে এবং কীভাবে তা আদায় হবে তার পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিতে হবে। এবং ফোরজি-চালুর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ সংস্থার চুক্তি অনুযায়ী মোবাইল ইন্টারনেটের গতি ২০ এমবিপিএস আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।

    /এসএম

    নতুন কলরেট
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close