‘গ’ ইউনিটে ফেল করলেও ‘ঘ’ ইউনিটে প্রথম!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন এক শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীই একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় রেকর্ড নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছেন। এই শিক্ষার্থীর নাম জিহাদ হাসান আকাশ। তিনি রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন।
এর আগে গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত হওয়া ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে। যে অভিযোগ গতকাল স্বীকারও করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইউনিটটিতে নিকট অতীতে সর্বোচ্চ ফলাফল হয়েছে। যা ক্ষেত্র বিশেষে দুই থেকে তিনগুণ। ২৬.২১ শতাংশ শিক্ষার্থী এতে পাস করেছেন।
সম্পর্কিত খবর
জানা গেছে, ঘ ইউনিটে প্রথম হওয়া জিহাদ নিজের ব্যবসায় শাখায় ফেল করেছেন। গ ইউনিটে তিনি পেয়েছেন ৩৪ দশমিক ৩২। বাংলায় পেয়েছিলেন ১০.৮ ইংরেজিতে পেয়েছিলেন ২.৪০, হিসাব বিজ্ঞানে ৫ দশমিক ২৮, ব্যবসায় নীতিতে ৬ দশমিক ৭২ এবং ফিন্যান্স এ ৯ দশমিক ৮৪।
অথচ এই শিক্ষার্থী ঘ ইউনিটে পেয়েছেন ১১৪ দশমিক ৩০। যেখানে বাংলায় ৩০ এর মধ্যে ৩০, ইংরেজিতে ৩০ এর মধ্যে ২৭.৩০, সাধারণ জ্ঞান বাংলাদেশ বিষয়বলিতে ২৮ দশমিক ৩০ এবং আন্তর্জাতিকে ২৫ দশমিক ৫০।
এ শিক্ষার্থীর ভর্তি নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ঘ ইউনিটের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, তার বিষয়ে তদন্ত ও যাচাই শেষে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে এবং প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ আরও জোরালো হলো কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না এটা প্রশ্নফাঁস না, ডিজিটাল জালিয়াতি।
জালিয়াতিতে যারা অভিযুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে গতকাল ফল প্রকাশের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানকে কোনো ভর্তিচ্ছুর ১২০ এ ১১৪ দশমিক ৩০ পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কারো মেধা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করতে পারি না। তবে কাউকে সন্দেহ হলে ডিন তাদের ব্যাপারে পুনরায় যাচাই করতে পারেন।
/এসএম