‘নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত’
নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা হয়েছে দাবি করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য পুলিশের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
সম্পর্কিত খবর
মনিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত যে গোয়েন্দা তথ্য আছে এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, তারা (বিএনপি) পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এজন্য তারা লাঠি মজুত করে রেখেছিল।
পুলিশ সেদিন সর্বোচ্চ ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) চেয়েছিল পুলিশের ওপর হামলার পর পুলিশও নির্বিচারে অভিযান চালাবে। সেই ভিডিও ফুটেজ বিভিন্ন মহলে দেখিয়ে তারা রাজনৈতিক ফয়দা নিতে চেয়েছিল। কিন্তু সেদিন পুলিশ কোনও অ্যাকশনে যায়নি। আমাদের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যে সক্ষমতা রয়েছে, তাতে তাদের সেখান থেকে সরিয়ে দিতে সর্বোচ্চ ৫/৭ মিনিট সময় প্রয়োজন হতো।
এর আগে সোমবার বিকালে রাজধানীর সূত্রাপুর এলাকা থেকে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তারা হলেন এইচ কে হোসেন আলী। তিনি মির্জা আব্বাসের অনুসারী এবং ১১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী।
মনিরুল ইসলাম বলেন, হোসেন আলী হেলমেট পরে পুলিশের ডাবল কেবিনের গাড়ি ভাঙচুর করে। বিভিন্ন ফুটেজ দেখে তাকে আমরা শনাক্ত করেছি।
গ্রেফতারকৃত অপররা হলো, শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভুইয়া, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্বাস আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রবিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাহাবুবুল আলম।