• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যেসব সংস্কারপন্থী ও আইনজীবীরা

প্রকাশ:  ০৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ২৩:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করছে বিএনপি। এরই মধ্যে ৩০০ আসনে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণাও হয়ে গেছে। প্রার্থী তালিকায় দেখা গেছে, ১০০ আসনে বেশির ভাগই নতুন প্রার্থী। এছাড়া কারাগারে থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ৫ জন, আছেন ১০ সংস্কারপন্থী নেতাসহ ১৪ জন আইনজীবী। দণ্ড, ঋণখেলাপি, মৃত্যু, বার্ধক্যসহ নানা কারণে অনেকেই নির্বাচন করতে পারছেন না। সেসব জায়গায় নতুন মুখ এসেছে। কিছু আসনে সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের স্ত্রী-সন্তানেরা মনোনয়ন পেয়েছেন।

বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির ভেতরে যে ঐক্যের সুর বইছিল, তার সুফল পেয়েছেন ২০০৮ সালের পর থেকে দলের মূল ধারা থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা সংস্কারপন্থী নেতারা। এবারের নিবার্চনে সাবেক এমপি অথচ সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত নেতাদের বেশ কয়েকজন পেয়েছেন চূড়ান্ত মনোনয়ন।

যেসব সংস্কারপন্থী নেতারা মনোনয়ন পেয়েছেন তারা হলেন, বরিশাল-১ আসনে জহিরউদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ আসনে সরফুদ্দিন সান্টু, নওগাঁ-৬ আসনে আলমগীর কবির, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে মেজর (অব.) আক্তারুজ্জামান, নরসিংদী-৪ আসনে সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল রাজবাড়ি-১ আসনে আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম, রাজবাড়ি-২ আসনে নাসিরুল হক সাবু ও কুমিল্লা-৯ আনোয়ারুল আজিম সুনামগঞ্জ-১ আসনে নজির হোসেন প্রমূখ।

এক সময় এই নেতারা দলের কেন্দ্রীয় পদে ছিলেন। কিন্তু আলোচিত ১/১১ সরকারের সময় সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ায় তাঁরা মূলধার থেকে ছিটকে পড়েন। আবার অনেকেই ছিলেন নিষ্ক্রিয় । নির্বাচনকে সামনে রেখে নিষ্ক্রিয় নেতাদের সক্রিয় হওয়ার সুযোগ দেয় বিএনপি। তবে অনেককেই জোটের কারণে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।

আইনজীবী: বিএনপি দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে মনোনয়নপ্রাপ্তরা হলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন বরগুনা-২ আসনে, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বরিশাল-৩ আসনে, বরিশাল-৫ আসনে এ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান সারোয়ার, ঝালকাঠি-১ আসনে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, নোয়াখালী-১ আসনে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও নোয়াখালী-৫ আসনে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, রাজশাহী-১ আসনে ব্যারিস্টার আমিনুল হক, মাগুরা-২ আসনে এডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী,পঞ্চগড়-১ আসনে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, ঝিনাইদহ-৫ আসনে এডভোকেট আবদুল মজিদ, নেত্রকোনা-১ আসনে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে এ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান, টাঙ্গাইল-৬ আসনে এ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী, এবং চট্টগ্রাম-৫ আসনে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা। জঙ্গিদের পেছনে অর্থ ঢালার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জঙ্গি সংগঠন হামজা বিগ্রেডকে অর্থায়নের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৮ অগাস্ট গ্রেফতার করা হয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাকিলাকে।

এছাড়া, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার এবার স্বেচ্ছায় প্রার্থী হননি। এর বাইরে দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম নির্বাচনে নেই। তিনি ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী ছিলেন। গত ১৭ই নভেম্বর হঠাৎ করে বিচারিক আদালতে তিন বছর দণ্ডিত হয়ে তিনি বাদ পড়েছেন। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার চূড়ান্ত মনোনয়ন পাননি। ঢাকা-২০ আসনে একাধিকার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান বাদ পড়েছেন। তার আসনে দলীয় টিকেট পেয়েছেন তমিজউদ্দিন। সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীর মৌলভীবাজার-১ আসনে চূড়ান্ত হয়েছেন নাসিরউদ্দিন মিঠু এবং চট্টগ্রাম-৫ আসনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন দণ্ডিত হওয়ায় বাদ পড়েছেন।

/পিবিডি/আরাফাত

বিএনপি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close