• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বিকল্পধারার ইশতেহারে ভারসাম্যের প্রতিশ্রুতি

প্রকাশ:  ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৬:৩৮
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৮ দফা নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছে বিকল্পধারা বাংলাদেশ ও যুক্তফ্রন্ট।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল লেকশোরে এক সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেন দলটির সভাপতি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী।

বিকল্পধারার ইশতেহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে রয়েছে গণতন্ত্র ও ভারসাম্যের রাজনীতি, আইন প্রণয়ন এবং প্রশাসনিক সংস্কার, অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচি, কৃষি এবং কৃষকের উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থা, পরিবেশ, নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা এবং পররাষ্ট্র নীতি।

এছাড়াও রয়েছে জাতীয় সংসদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি, দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গঠন, নারী শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ও বাসস্থান সুবিধা বৃদ্ধি, ব্যাংকিং কমিশন প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক দুর্নীতি ও ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক সংস্কার সাধন, একটি ‘যুব কমিশন’ গঠন ও কমিশনের মাধ্যমে যুব প্রতিনিধিদের দ্বারা ভবিষ্যতে যুবশক্তির উন্নয়ন এবং যুব স্বপ্নের বাস্তবায়ন।

সক্ষম প্রতিবন্ধীদের জন্য সরকারে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যায় চাকরি সংরক্ষণ করা। পার্বত্য চট্টগ্রাম, উত্তরাঞ্চল, নদীভাঙা এবং চরাঞ্চলের চরম দারিদ্র্যপীড়িত জনগণের জন্য বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা। সকল ধর্মীয় ও অনুভূতির প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান, সহানুভূতি ও শ্রদ্ধাবোধের পরিবেশ সৃষ্টি করা। কৃষকের অবস্থার সার্বিক উন্নয়নে বাস্তবমুখী কৃষকবান্ধব নীতি ও আইনের প্রবর্তন এবং প্রয়োগ করা।

জাতীয় মাথাপিছু আয়ের নিচে যাদের অবস্থান থাকবে সেইসব কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের ৬০ বছর বয়সের পর থেকে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকারি পেনশনের ব্যবস্থাকরণ। কঠোরভাবে প্রশ্নফাঁসসহ শিক্ষার সকল দুর্নীতি দমন।

বেসরকারি ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতির মধ্যে সমন্বয় সাধন ও মান নিয়ন্ত্রণ। মন্ত্রিসভায় কমপক্ষে ২০ শতাংশ নারী এবং ২০ শতাংশ দেশের বিশেষজ্ঞদের (টেকনোক্র্যাট) জন্য সংরক্ষণ। শ্রমজীবী, কৃষক ও সংখ্যালঘু প্রতিনিধিকে বাধ্যতামূলকভাবে মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া।

বাংলাদেশি পণ্য রফতানিকরণ এবং এ দেশের কর্মীদের বিদেশে কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক কুটনীতি দৃঢ়করণ। বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের কল্যাণ নিশ্চিতকরণ।

ইশতেহার পাঠের সময় বি চৌধুরী বলেন, আসন্ন নির্বাচনটি হবে জাতির জন্য ঐতিহাসিক এবং গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনের মাধ্যমে জাতি গণতন্ত্রের আরও একটি ধাপে এগিয়ে আসবে। গত চার দশকের মধ্যে এই প্রথমবার একটি দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে যোগ দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের আহ্বান থাকবে যে, এই নির্বাচন যাতে শান্তি ও শৃঙ্খলার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য নির্বাচন কমিশন তথা রাজনৈতিক দলগুলো তাদের যথাযথ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি বলেন, শুধু সংখ্যার ভিত্তিতে আমরা ভারসাম্যের কথা বলিনি; এখনও বলি না। ভারসাম্য প্রধানমন্ত্রী একং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতার মধ্যে আনতে হবে। ভারসাম্য মন্ত্রিসভায়ও আনতে হবে। মন্ত্রিসভায় মহিলাদের সংখ্যা শতকরা ২০ ভাগ উন্নতি করে, কৃষক-শ্রমিক ও যুবশক্তি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে মন্ত্রিসভায় ভারসাম্য আনা যেতে পারে।

/পিবিডি/আরাফাত

বিকল্পধারা,এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close