• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বগুড়া-৫ আসনে বাড়ছে সহিংসতা

প্রকাশ:  ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৫:২৬
বগুড়া প্রতিনিধি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে ততই বাড়ছে নির্বাচনী সহিংসতা। সোমবার ধুনটে নৌকা ও ধানের শীষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে মারধর করে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ ও বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার মধ্য দিয়ে সহিংসতা ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ধুনট হুকুমআলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকা ও রাত ১২টায় মাঠপাড়া এলাকায় পৃথক এসব ঘটনা ঘটে।

এদিকে নৌকার সমর্থক দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় মঙ্গলবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বাদী হয়ে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ধুনট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক তৌহিদুল আলম মামুন, সদস্য সচিব শরাফত জামান পাশা ও পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোখফিজুর রহমান বাচ্চুসহ এজাহারভুক্ত ৩১ জন এবং অজ্ঞাত আরো ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

জানাগেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৫ আসনে ৯জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তন্মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান নৌকা ও বিএনপির মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা দুই প্রার্থীই এই আসনের হেভিওয়েট প্রার্থী। সোমবার গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ নিমগাছী এলাকায় গণসংযোগ শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ধুনটের হুকুমআলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মথুরাপুর রোডে ধানের শীষের নির্বাচনী অফিসে কর্মীসভায় অংশ নিতে যাচ্ছিলেন।

এসময় তাকে স্বাগত জানাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা হুকুমআলী বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থান নিলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সংবাদ শুনে গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ তার নেতাকর্মীদের নিয়ে পশ্চিমভরনশাহী এলাকায় অবস্থান নেয়।

পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে প্রটোকল দিয়ে বিএনপির প্রার্থীর গাড়ী বহর মথুরাপুর রোডে পাঠিয়ে দেয়। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই মিছিল নিয়ে নৌকার কর্মী সমর্থকরা হুকুমআলী বাসষ্ট্যান্ডের বিএনপির নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করে।

এঘটনার জের ধরে সোমবার রাত ১২টায় নৌকার সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সম্পাদক শাহীন আলমের ওপর হামলা চালিয়ে মারধরে আহত করে ধানের শীষের কর্মী সমর্থকরা। এসময় তারা যুবলীগ নেতা রেজাউল করিমের মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।

এছাড়া গত ১১ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনই ধুনট বাজারের কলাপট্টি এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থী গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের গাড়ী বহরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও এলাঙ্গীর রাঙ্গামাটি গ্রামে ধানের শীষের সমর্থক যুবদল নেতা মুরাদের বাড়ীতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এভাবেই নৌকা ও ধানের শীষের কর্মী সমর্থদের মধ্যে সহিংসতা বেড়েই চলেছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই খোকন বলেন, এলাঙ্গী বাজারে নৌকার কর্মীসভা শেষে রেজাউল করিম ও শাহীন আলম পেঁচিবাড়ী গ্রামের বাড়ীতে যাচ্ছিল। এসময় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদেরকে মারধর করে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। পরে আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ধুনট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ধুনট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম মামুন বলেন, আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মীর ওপর হামলা করা হয়নি। তবে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করতেই তারা মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন বিভিন্ন এলাকায় ধানের শীষের নির্বাচনী কার্যালয় ভাঙচুর করছে।

ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, নৌকার দুই কর্মী সমর্থকের ওপর হামলা ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।

পিবিডি/পি.এস

বগুড়া,সহিংসতা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close