• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ঘরের দরজা ভেঙ্গে নারীকে শ্লীলতাহানি

প্রকাশ:  ১৯ অক্টোবর ২০১৭, ১৯:১৪
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় আহত ও বসতঘরে শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নির্যাতিতরা পুলিশি সহায়তায় উদ্ধার হন। এ ঘটনায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর তিলকপুর গ্রামের নির্যাতিত সুরজান আক্তার (২৫) থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে একই এলাকার মিছির মিয়া, শিবলু, শিবির সহ ছয় জনকে অভিযুক্ত করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সুরজান আক্তার বলেন, আমার বাবার পৈতৃক স্বত্ব নয় শতক জমির মধ্যে আমার এক শতক জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক চাচা মিছির মিয়া তার বাড়ির রাস্তা নিয়ে যান। আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি ও সাবেক মেম্বার জাহিদুল ইসলাম’কে জানালে তারা বিষয়টি সমাধান করবেন বলে শান্তনা দেন। পরে আমার বসতঘর মেরামতে মিছির মিয়া ও তার দুই ছেলে শিবির ও শিবলু কাজে বাধা দেয়। এ ঘটনায় আমার এক ভাই ছায়েম এর মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত দরখাস্থ দেই।

সম্পর্কিত খবর

    নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি সরজমিনে তদন্ত করে আমার বসত ঘর মেরামতে প্রাক্তন মেম্বার জাহিদুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে ঢেউটিন ও মেরামতের খরচ দেন। পরে মিছির মিয়া আমার বসতবাড়ির মধ্যে দুই শতক জমি পায় বলে দাবি করে। এ ঘটনায় আমি মৌলভীবাজার পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করলে তিনি কমলগঞ্জ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। থানার এসআই কৃষ্ণ মোহন দেবনাথ সরজমিনে তদন্ত করে আমার জায়গা আমাকে দিতে মিছির মিয়াকে নির্দেশ দেন।

    এসআই কৃষ্ণমোহন দেবনাথ ঘটনাস্থল হতে যাওয়ার পর গত ১১ অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যার পর মিছির মিয়া সহ তার দুই ছেলে শিবির ও শিবলু এবং আমার চাচা উম্মর মিয়া আমাকে গালি গালাজ করে ও প্রাণে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১১ টায় মিছির মিয়া, শিবির ও শিবলু সাত, আট জনের সংঘবদ্ধ দল দেশীয় ধারালো অস্ত্রাদি নিয়ে আমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে আমাকে ও আমার ছোট ভাই উজ্জলকে মারধোর করে আহত করে ও শিবলু আমাকে বসত ঘরে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায়।

    চিৎকার শুনে আমার ভাই ছায়েম আমাদের রক্ষা করতে আসলে তাকেও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার এসআই জাকির হোসেন পুলিশ ফৌর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে হইতে আমাদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যান। এ ঘটনায় আমি বাদি হয়ে ছয়জনকে আসামী করে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেই।

    তবে অভিযোগ বিষয়ে শিবলু মিয়া বলেন, এলাকার লোকজন মহিলাকে অসামাজিক কাজে সম্পৃক্ত পেয়ে তাদের মারধোর করেছেন। আমাদের বাড়ি থাকায় আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। তবে মারধোরের সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।

    কমলগঞ্জ থানার এসআই জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে দিয়ে আসি। পরে সুরজান আক্তার একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসান বলেন, অভিযোগটি ত্রুটিপূর্ণ থাকায় সেটি সংশোধন করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সামাজিকভাবে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close