বিলুপ্ত হবে চকলেট

বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বিরূপ প্রভাব পড়ছে বিশ্ব-পরিবেশে। উদ্বেগজনক ভবিষ্যদ্বাণী করে চলেছেন পরিবেশবাদীরা। এরমধ্যে আমেরিকার ন্যাশনাল ওশেনিক এন্ড অ্যাটোমসফেরিক এডমিনিস্ট্রেশন এর গবেষণায় উঠে এসেছে নতুন তথ্য; যা চকলেটপ্রেমীদের জন্য উদ্বেগেরই বটে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডার, ডেইলি মেইলসহ অনেকে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে।

গবেষকরা বলছেন, আগামী ৪০ বছরের মধ্যে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে চকলেট। এই ব্যবসার সাথে জড়িতরা আগামী ৩০ বছরের মধ্যেই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে পারেন।

চকলেটের মূল উপাদান আসে কোকো গাছ থেকে। এই গাছ ভাল জন্মে বিষুবরেখার কাছাকাছি অঞ্চলে। শুধু তাই নয়, এই গাছের চাষের জন্য প্রয়োজন উপযুক্ত তাপমাত্রা। .২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা এই গাছের চাষের জন্য আদর্শ। এছাড়া আদ্রতা বেশি না হলে বা প্রচুর বৃষ্টিপাত না হলে এই গাছ ভাল জন্মে না।

লন্ডনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান হার্ডম্যান এগ্রিবিজনেসের গবেষক হকিন্স বলেছেন, কোকো উৎপাদন অপ্রতুল, কারণ চাষের পদ্ধতি যুগোপযোগী নয়। তিনি আরো বলেন, দিন দিন এই ঘাটতি বাড়তেই থাকবে।

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু, মেক্সিকো, ইকুয়েডর, ব্রাজিল এবং আফ্রিকার কিছু দেশে উৎপাদিত হয় কোকো। তাপমাত্রা আর মাত্র দুই দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে প্রায় অসম্ভব হবে কোকোর চাষ। আর এ কারণেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে চকোলেট শিল্প।

/নাঈম