• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

বাহ! আমি যা চাচ্ছি সত্যিই তাই!

প্রকাশ:  ১৩ জানুয়ারি ২০১৮, ০২:০৮
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক

অ্যাঞ্জেলা: আমার নাম অ্যাঞ্জেলা। কোথায় থেকে আমার ইসলামের যাত্রা শুরু হয়েছিল সেসম্পর্কে সত্যিই আমি নিশ্চিত নই।আমি একজন আমেরিকান হিসাবে বড় হয়েছি। আমি রিজার্ভেশনের মধ্যে বেড়ে ওঠেছি। তবে, আমরা ছিলাম খুবই আধ্যাত্মিক। আমার দাদা-দাদী সবসময়ই স্রষ্টার সম্পর্কে আমাকে বলত এবং এসব কাহিনী শুনেই বড় হয়েছি।

১০ বছর বয়সে আমাদের নেটিভ আমেরিকান শিশুদের মতো আমিও ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুলে গিয়েছিলাম কারণ এটি মনে করা হতো যে এটি আমাদেরকে আরো বেশি আমেরিকান করবে। তাই একটি ক্যাথলিক বোর্ডিং স্কুলে আমি দুই বছর কাটিয়েছি এবং এর কোনটিই আমার কাছে কোনো অর্থ তৈরি করতে পারেনি এবং আরেকটি বিষয় হচ্ছে-এর দুই বছর পরে আমি সত্যিই বুঝতে পরি যে আমি নিশ্চিতভাবেই ক্যাথলিক নই!

সম্পর্কিত খবর

    আমার বয়স বাড়ার সঙ্গে মানুষজনও আমাকে জিজ্ঞাসা করতে শুরু করে: ‘তোমার ধর্ম কি?’ এবং আমার উত্তর ছিল, ‘এ ব্যাপারে সত্যিই আমি কিছু জানি না।’

    আমরা আধ্যাত্মিক কিন্তু আমরা এর জন্য কোনো নাম দেইনি। এটা শুধুই জীবনের একটি উপায়। আপনি আপনার পুরো দিন প্রার্থনায় ব্যয় করছেন এবং বয়স্করা সবসময় আমাদের বলছে যে আমরা প্রার্থনার পথে হাঁটছি। প্রতিটি পদক্ষেপ এক একটি প্রার্থনা হিসেবে অনুমিত হয়েছে। কিন্তু আমরা এর জন্য নাম দেইনি!

    এটা ছিল সত্যিকার অর্থেই বিভ্রান্তিকর; যখন মানুষ জিজ্ঞাসা করত, ‘আপনার ধর্ম কি?’

    তাই আমি অন্যান্য ধর্মের দিকে মনোনিবেশ করি। আমি সবকিছু নিয়ে গবেষণা শুরু করি এবং আমার পছন্দ করা সব কিছুর প্রসঙ্গে অবশেষে আমি একটি সিদ্ধান্তে আসি আর সেটি হচ্ছে, ‘এটি কোনো অর্থ তৈরি করে না।’

    এভাবে সময় যেতে থাকে এবং অচিরেই আমি একজন মুসলিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং আমরা কথা বলা শুরু করি এবং আমার প্রতিক্রিয়া ছিল: ‘বাহ! আমি যা চাচ্ছি আপনি সত্যিই তাই’।

    তার সঙ্গে কথা বলে আমার কাছে মনে হলো এই সম্পর্কে আমাকে আরো গবেষণা করা প্রয়োজন। তাই আমি অনলাইনে এ নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে পড়তে শুরু করি এবং এর সবই আমার কাছে অর্থ তৈরি করতে পেরেছিল। এর বেশিরভাগই আমি আমার পিতামহের কাছ থেকে শুনেছি।

    সুতরাং, আমি পড়া চালিয়ে যাই এবং একদিন আমি একটি গ্রোসারির দোকানে যাই। সেখানে তাকের উপরে ডানদিকের সব বইই ছিল ইসলাম সম্পর্কে এবং তা দেখে আমার শান্ত প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘এটা সত্যিই দারুন!’

    সেখানে রাখা সব বই আমি কিনে নেই এবং বাড়ি নিয়ে গিয়ে সেগুলো পড়া শুরু করি। এটা সত্যিই অর্থপূর্ণ ছিল।

    তাই আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি কোরআন পড়ার চেষ্টা করতে যাচ্ছি। আমি অগ্রসর হলাম এবং কোরআন পড়া শুরু করি। বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আমার ব্যাপক অধ্যয়ন এবং পিতামহের কাছ থেকে শুনে আসা উপাদান সম্পর্কে আমি কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম। আমি এতে ভিন্নতা দেখতে পাই।

    আমি কোরআন পড়তে থাকলাম এবং আমার প্রতিক্রিয়া ছিল: ‘বাহ! আমি আমার সারা জীবন ধরেই তো এটি করছি এবং কেবল আমি এটা জানতাম না!

    সুতরাং, আমি এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, এটি আমার কাছে অর্থ তৈরি করতে পেরেছে এবং এখানেই (ইসলামেই) আমি।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close