• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

যমুনা নদীতে বিপদসীমার ১৬ সে.মি উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত

প্রকাশ:  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:২৫
বগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েই চলেছে পানি বৃদ্ধির স্তর। মঙ্গলবার সকালে পানি বৃদ্ধি পেয়ে নতুন নতুন এলাকায় পানি ঢুকতে শুরু করেছে। জেলার সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার যমুনা নদী তীরবর্তি ও চরাঞ্চলের মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। এদিকে প্রায় এক ৮০০ হেক্টর জমির ফসল পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও ধুনটে ধুনটের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে যমুনা নদীর বিপদসীমা ১৬.৭০ সে:মি: তা এখন বৃদ্ধি পেয়ে ১৬.৮৬ সে:মি: হয়েছে। এতে করে পানি ১৬ সে: মি: উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

যমুনার অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে চরের ৫৭ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এছাড়া পানিবন্দি হয়ে পড়েছে চরের শতাধিক পরিবার।

বগুড়ার ধুনট ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল জানান, গত কয়েক দিনের অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বৈশাখী চরের প্রায় শতাধিক পরিবার। এভাবে পানি বৃদ্ধি পেলে একদিনের মধ্যেই বাঁধের পূর্ব পাশের ঘরবাড়ীতে এবং চরের বসতবাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করবে।

ইতোমধ্যে ভান্ডারবাড়ী ইউনিয়নের শিমুলবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ধুনট উপজেলা কৃষি অফিস জানাচ্ছে, বন্যার পানিতে চরের ৪২ হেক্টর জমির রোপা-আমন ধান, ৬ হেক্টর জমির বিভিন্ন শাক-সবজী, ৭ হেক্টর জমির মরিচ ও ২ হেক্টর জমির আখ নিমজ্জিত হয়েছে। আরো কিছু সবজির ক্ষেতে পানি ঢুকছে। তা জরিপ করা হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ জানান, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। মঙ্গলবার সকালে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার পাশাপাশি সোনাতলা ও ধুনট উপজেলা যমুনা নদী পয়েন্টেও পানি বাড়ছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলে নিম্নাঞ্চলের ফসলি জমিতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি অফিসার সাহাদুজ্জামান জানান, উপজেলাল চালুয়াবাড়ী, কাজলা, বোহাইল, হাটশেরপুর, কুতুবপুর, কর্নিবাড়ি, ভাঙ্গরগাছা হাটবাড়ী, নয়াপাড়া, দিঘাপাড়া, চকরতিনাথ, কুড়িপাড়া, চরবাটিয়া, মূলবাড়ী, ধারাবর্ষা চরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার আমন বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের জমিতে বন্যার পানি উঠেছে। এপর্যন্ত ৬০০ হেক্টর জমির ফসল পানির নিচে রয়েছে। শনিবার ছিল ৫৬৫ হেক্টর জমি।

ওএফ

যমুনা নদী,বন্যা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close