শুভ জন্মদিন লতাপা, ভালবাসা অফুরন্ত
লতাপাকে দেখা প্রথম নাটকে! যদিও একই বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং আবাসিক হলের ছাত্রী আমরা কিন্তু উনি শিক্ষা জীবন শেষ করে ফেললে আমার সেখানে প্রবেশ! লতাপা তখনও ক্যাম্পাসে উপস্থিত তার শিল্প-সাহিত্যে বিচরণের কারনে।
নাটকে এসেই অপরিসীম মেধা প্রমান করলেন! খুব কম অভিনেত্রী হুমায়ুন আহমেদের নাটকের মেয়ে চরিত্রগুলো বুঝতে পেরেছে! তিনি প্রথমেই চরিত্রগুলো ক্যাপচার করলেন অভুতপূর্ব দক্ষতায়! কিন্তু আমার কাছে তিনি ঐতিহাসিক "তুই রাজাকার" দৃশ্যে! আমার সাথে যখন তাঁর সাথে কন্ঠ আলাপ সেটা তারও অনেক পরে! আদর্শ ও দেশপ্রেম আমাদের কাছে এনে দিয়েছে বিদ্যুৎগতিতে! গনজাগরনের সেই দিনগুলোতে দেখেছি এই গুনীশিল্পীর দেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পৃক্ততা। আমাদের বন্ধন দৃঢ় হয়েছে সেই মেরুতে! আমরা সহযোদ্ধা হয়েছি সেই যুদ্ধক্ষেত্রে।
সম্পর্কিত খবর
তখনই জেনেছি মানুষ হিসেবে কতটা বিনয়কে ধারন করেন তিনি। আমার মাতৃবিয়োগের সেই দিগুলোতে মহাসাগরের ওপার থেকে সাথে থেকেছেন পরম আত্মীয়ের মত। লতাপা দেশে পূর্ণ মর্যাদা পেলে দেশের জন্য মঙ্গল হতো বেশী! প্রবাসে অভিমানী স্বেচ্ছা নির্বাসন মেনে নিয়েছেন। এই গুনী শিল্পী তবু এক মুহুর্ত দেশকে ভুলে থাকেননি! আমার শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এই শিল্পীর জন্য! শুভ জন্মদিন লুতুপা! ভালবাসা অফুরন্ত!