মানিকগঞ্জ-১: দেলোয়ারপুত্র ডাবলু নয় বিএনপির প্রার্থী জিন্নাহ
নাটকীয় ভাবে আবারো মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তন করে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীরকে চূড়ান্ত করেছে। প্রথমে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীরকে মনোনয়ন দেন। পরে ৮ ডিসেম্বর তা পরিবর্তন করে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু কে দেওয়া হয়। পরে রোববার রাতে পুনরায় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে জিন্নাহকেই দেওয়া হলো ধানের শীষের চূড়ান্ত চিঠি।
বিষয়টি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এসএম ফেরদৌস নিশ্চিত করে বলেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে জিন্নাহই সব কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
সম্পর্কিত খবর
জেলার শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলা কে নিয়ে মানিকগঞ্জ-১ আসনটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন তিনজন। এরা হলেন- জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর এবং জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক তোজা।
বিএনপি প্রথমে শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে এস এ জিন্নাহ কবীরকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়। এমন খবর পেয়ে বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু তার ছোটবোন দেলোয়ারা বেগম পান্নাকে নিয়ে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আসেন। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে নিচে নিরাপত্তাকর্মীরা ডাবলুকে বাধা দেন। তখন তার সমর্থকদের মধ্যে হইচই শুরু হয়। পরে ডাবলু ও তার বোন দলের নেতাদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
পরে বিষয়টি বিবেচনা করে (৮ ডিসেম্বর) রাতে ডাবলুকেই দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এর একদিন পর এস এ জিন্নাহ কবীরকেই বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থিতার চিঠি দেওয়া হয়।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম ফেরদৌস, মানিকগঞ্জ-১ আসনের চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে এসএ জিন্নাহ কবীরের সব কাগজপত্র রবিবার জমা দিয়েছেন ।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবীর বলেন, মানিকগঞ্জ-১ আসনে আমিই ধানের শীষের একক প্রার্থী। আশাকরি ১০ বছর পর এ আসনটি উদ্ধার করে বিএনপিকে উপহার দিতে পারব।
/পি.এস