• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

পদ্মার পানিতে বিষাক্ত বর্জ্য, ভাসছে মাছ

প্রকাশ:  ১৯ মার্চ ২০১৮, ১৪:৪১
রাজশাহী প্রতিনিধি

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ড্রেন দিয়ে নেমে যাওয়া বর্জ্যের কারণে পদ্মা নদীতে চিংড়ী মাছ ভেসে উঠছে। মাছগুলো দুষিত বর্জ্যের কারণে পানিতে ভেসে উঠেছিল বলে দাবি করেছেন জেলেরা; তবে স্থানীয়রা মনে করেছিলেন বিষাক্ত ট্যাবলেট দিয়ে ওই জেলেরা মাছগুলো শিকার করেন।

এরপর পুলিশ গিয়ে ৫ জনকে আটকও করে। পরে মৎস্য বিভাগের লোকজন গিয়ে পানি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় রাসিকের দুষিত বর্জ্যরে কারণেই মাছগুলো ভেসে উঠেছিল। কোনো বিষাক্ত ট্যাবলেট পানিতে প্রয়োগ করেননি জেলেরা। ঘটনাটি নগরীরর্ রীরামপুর এলাকায়। পরে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত খবর

    রাজশাহী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুভাস চন্দ্র সাহা বলেন, শহরের বর্জ্য পরিশোধন না করে নদীতে ছাড়ায় পানি দূষিত হচ্ছে। এ কারণেই এখন চিংড়ি মাছ ভেসে উঠছে। বিষয়টি এর আগেও আমরা রাসিককে বারবার সতর্ক করেছি; কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।

    জেলেরা জানান, রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নগরের শ্রীরামপুর এলাকার লোকজন পদ্মা নদীর টি-বাঁধ এলাকায় ভেসে উঠা চিংড়ী মাছ ধরছিলেন। এ সময় অন্য লোকজন পুলিশকে অভিযোগ দেয় যে, নদীতে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ মারা হচ্ছে। খবর পেয়ে নগরের রাজপাড়া থানা পুলিশ মাছসহ ৫জনকে ধরে নিয়ে যায়।

    রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, ৫জনকে আটকের পর মাছ মারার জন্য গ্যাস ট্যাবলেট ব্যবহার করা হয়েছে কি না তা যাচাই করার জন্য জেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের ডাকা হয়। বিকেল চারটার দিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুভাস চন্দ্র সাহা, মৎস্য বিভাগের খামার ব্যবস্থাপক আব্দুল খালেক ও পবা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, রাজপাড়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান, উপপরিদর্শক তোহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান।

    মৎস্য কর্মকর্তারা পানি পরীক্ষা করে দেখেন, পানি বিষাক্ত ট্যাবলেট ব্যবহার করার কোনো আলামত নেই। সিটি করপোরেশনের বর্জ্যের কারণে পানি দূষিত হয়ে চিংড়ী মাছ ভেসে উঠেছিল।ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে থানায় এসে বিকেল পাঁচটার দিকেই আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

    বর্জ্য পরিশোধনের ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক বলেন, আট-দশটি ড্রেন দিয়ে শহরের রাস্তার দক্ষিণ পাশের বর্জ্য পানি পদ্মা নদীতে পড়ে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এই পানি পরিশোধন করে তাদের সেচের কাজে ব্যবহার করার জন্য গবেষণা করছে। তারা সফল হলে তারাই একটা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করবে। এই রকম একটা পরিকল্পনা চলছে।

    রাসিক সূত্র মতে, রাজশাহী নগরের শ্রীরামপুর, বুলনপুর, ফুদকিপাড়া, দরগাপাড়া, সেখেরচক, পঞ্চবটি ও কাজলাসহ ১০টি ড্রেন দিয়ে নগরের বর্জ্য পানি প্রতিদিন পদ্মা নদীতে নামছে।

    খামার ব্যবস্থাপক আব্দুল খালেক বলেন, তিন ফিট পানির গভীরতা আছে এমন এক বিঘা আয়তনের জলাশয়ে মাছ মারতে হলে ২০০ গ্যাস ট্যাবলেটের প্রয়োজন পড়ে। এত বড় নদীতে এভাবে ট্যাবলেট দিয়ে মাছ ধরা সম্ভব নয়। এটা সিটি করপোরেশনের দূষিত পানির কারণেই হয়েছে।

    সারাদেশ

    অনুসন্ধান করুন
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close