• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইন্দোনেশিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন বুধবার

প্রকাশ:  ১৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:৩৪
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বিশ্বের তৃতীয় গণতান্ত্রিক দেশ খ্যাত ইন্দোনেশিয়ায় আগামী ১৭ এপ্রিল জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, একদিনেই অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার আয়োজন পৃথিবীর অন্যান্য সব দেশের চেয়ে বড়। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ, নিম্নকক্ষসহ প্রাদেশিক পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের বেছে নিতে ১৯ কোটি ২০ লাখ ভোটার ভোট দেবেন এ নির্বাচনে।

ইতোমধ্যে প্রচারে নেমেছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদো এবং তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মারুফ আমিন। এবার মূলত এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে মূল লড়াই।

আগামী বুধবার (১৭ এপ্রিল) দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ এবং নিম্নকক্ষসহ প্রাদেশিক পরিষদের সকল জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনের জন্য এবার ভোট দেবেন দেশটির প্রায় ১৯ কোটি ২০ লাখ ভোটার।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানায়, গোটা দেশে একদিনে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস-প্রেসিডেন্টসহ পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের মোট ১৩৬টি সদস্য পদ এবং নিম্নকক্ষের আরও প্রায় ৫৭৫টি পদের জন্য ভোট অনুষ্ঠিত হবে। একইসঙ্গে অন্তত দুই হাজার ২০৭ জন প্রাদেশিক সদস্য ছাড়াও মোট ১৭ হাজার ৬১০টি স্থানীয় কাউন্সিলর পদেও নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে।

এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে মোট ১৬টি রাজনৈতিক দল। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন প্রায় দুই লাখ ৪৫ হাজারের বেশি প্রার্থী। বহু দ্বীপের দেশ খ্যাত এই ইন্দোনেশিয়ায় সকাল ৭টায় শুরু হওয়া এই ভোট শেষ হবে একইদিন রাত ১টায়।

আগামী ১৭ এপ্রিল রাতে ভোট গ্রহণ শেষে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা হলেও এর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা হবে পরের মে মাসে। এতে প্রেসিডেন্ট, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ও আইন প্রণেতাসহ মোট পাঁচ পদে প্রার্থী নির্বাচনের জন্য একসঙ্গে পাঁচটি ব্যালট পেপারে ভোট দেবেন প্রতিজন ভোটার।

দেশটিতে এবারই প্রথম জাল ভোট এড়াতে হালাল কালিতে ভোটাররা তাদের আঙ্গুল চুবিয়ে ভোট দিবেন। তাছাড়া এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সিঙ্গাপুর এবং অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইন্দোনেশীয় মিশনে হাজার হাজার ভোটার তাদের আগাম ভোট দিয়েছেন।

এদিকে এই নির্বাচনের মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে আবারও ধরে রাখতে ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট জোকো ইউদোদো। যদিও তাকে পুরোপুরি প্রতিহত করতে আগামী প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন বলে দাবি করেছেন প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল মারুফ আমিন।

২০১৮ সালের আগস্ট মাসে বিরোধী প্রার্থী আমিন তার প্রার্থিতা ঘোষণার সময় বলেছিলেন, আপনারা সকলেই জানেন যে, আমি কখনোই একজন জাতীয়তাবাদী নই। আমি কেবল মাত্র একজন ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। তাই আমরা একে অপরের সম্পূর্ণ পরিপূরক।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই দেশটির জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি এও বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি যে; জোকো একজন ইসলাম বিরোধী। যে কারণে একজন ভাল মুসলিমের হাতে দেশের ক্ষমতা যাওয়া দরকার।

যদিও বর্তমানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত অবসরপ্রাপ্ত এই জেনারেল ২০১৪ সালে নির্বাচনেও জোকো ইউদোদোর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দেশটির খ্যাতনামা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত এই ব্যক্তি যিনি গত বছরের জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়ার ডেপুটি গভর্নর হিসেবে কয়েক মাস দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ইন্দোনেশিয়ার গবেষক আন্দ্রেডাস হারসনও বলেছেন, এবারের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাল ভোট নিয়ন্ত্রণে সোচ্চার রয়েছে দেশের নির্বাচন কমিশন। আমার বিশ্বাস, ইন্দোনেশিয়ার বেশ কিছু ভূখণ্ডে চীনা শ্রমিক রয়েছে। যদিও এই সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস হচ্ছে।

অপরদিকে দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পদে প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোকেই এগিয়ে রাখছেন দেশটির বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষক। একইসঙ্গে স্থানীয় বিভিন্ন জরিপগুলোতেও উঠে এসেছে ঠিক একই ফল।

২০১৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সাবেক জেনারেল প্রবোও সুবিয়ান্তোকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন তিনি। ছোট্ট একটি শহরের মেয়র হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু করা উইদোদো এর আগে সামান্য একজন ফার্নিচার বিক্রেতা ছিলেন।

পিবিডি/ ইকা

নির্বাচন,বিদেশ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close