ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা রাশিয়ার, নিহত ১২

ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) ভোরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কয়েক ঘণ্টা পর পুরো দেশে দ্বিতীয় দফায় আরো হামলা চালায় দেশটি। এতে ১২ জন নিহত হয়েছেন।

দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় শহর দানিপ্রোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এছাড়া কিয়েভ, খারকিভ ও ওডেসা শহরেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। শহরগুলোর বিদ্যুৎ স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানায় ইউক্রেনের বেশিরভাগ এলাকা এখন জরুরি ব্ল্যাকআউট বা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, ওই আঘাতে অন্তত ৭৩ জন আহত হয়েছে যাদের মধ্যে ১৪টি শিশুও রয়েছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

এর আগে যুক্তরাজ্য জানিয়েছিলো, ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরালো করতে তারা দেশটিকে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধাস্ত্র চ্যালেঞ্জার-২ ট্যাঙ্ক সরবরাহ করবে।

এ বিষয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, এসব ট্যাঙ্ক রাশিয়ান বাহিনীকে ইউক্রেন থেকে সরাতে সহায়তা করবে। তবে এর পাল্টা জবাবে রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র দেওয়া হলে তা রাশিয়ার অভিযানকে আরো ব্যাপক করে তুলবে। তাতে অনেক বেশি সাধারণ মানুষ হতাহত হবে।

শনিবার রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদামির জেলেনস্কি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি প্রয়োজনীয় অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ করে, তাহলে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রাশিয়ার হামলা ঠেকানো সম্ভব।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিষয়ে তিনি জানান, ইউক্রেনের বাহিনী ২০ থেকে ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশেই ধ্বংস করে দিয়েছে।

পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএম