• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

রাখাইনে বিদ্রোহ দমনে ক্ষুধায় মারছে জান্তা

প্রকাশ:  ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৪০
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

মিয়ানমানের রাখাইন রাজ্যের বিদ্রোহ দমনে নাগরিকদের ক্ষুধায় মারছে জান্তা। খাদ্য সরবরাহ বন্ধের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়শিবিরগুলো থেকে খাবারের সন্ধানে কেউ বাইরে গেলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। ১৭ ডিসেম্বর খাবারের সন্ধানে ১৩ জন রোহিঙ্গার রাখাইনের কিউকফিউ শহরে প্রবেশের সময় জান্তা সৈন্যরা তাদের উত্তর-পূর্ব মিয়ানমারের কিউকতালোন আইডিপি ক্যাম্প থেকে গ্রেফতার করে। ইরাবতি।

আশ্রয়শিবিরের একজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেনাবাহিনী আমাদের শহরে ঢুকতে দিচ্ছে না।’ আশ্রয়শিবিরের আরেকজন বলেন, ‘প্রধান রাস্তা দিয়ে বাদ দিয়ে অন্য একটি প্রবেশপথ দিয়ে শহরে প্রবেশের চেষ্টা করার সময় কিছু টহলরত সৈন্য তাদের (অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত) গ্রেফতার করে। তারা এখন কোথায় আছে আমরা জানি না।’

আশ্রয়শিবিরের শরণার্থী ছাড়াও বেসামরিকদেরও গ্রেফতার করছে জান্তা সরকার। পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্যের সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশনের (সিএসও) সংগৃহীত তথ্যানুযায়ী, গত মাসে জান্তা ও আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে পুনরায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাখাইন রাজ্যে ১৭০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিককে আটক করা হয়েছে। ভয় তৈরির উদ্দেশ্যে বেসামরিক নাগরিকদের গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাখাইনের বুথিডাং শহরের সাবেক নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতা ইউ অং থাউং সোয়ে।

এ বিষয়ে পশ্চিম মিয়ানমারের সিটওয়ে-ভিত্তিক সিএসও’র একজন সদস্য বলেন, রাখাইনে গ্রেফতার হওয়া বেসামরিক লোকদের নাগরিকের সংখ্যা সংগৃহীত তথ্যের চেয়ে বেশি হতে পারে। তিনি অনুমান করেছিলেন, আরাকান আর্মি ও জান্তা সৈন্যদের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোকদের আটক করা হয়েছে।

সোয়ে সরকারকে রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দাদের অনাহারে রাখার চেষ্টা করার অভিযোগও করেছেন। জান্তা সরকার স্থানীয় জনগণের মধ্যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপসহ খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে তাদের ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাখছে বলে জানান তিনি। এছাড়া জান্তা সরকার ব্যবসায়ীদের আটক করে তাদের মুক্তির জন্য সরকার ৩০ মিলিয়ন কিয়াট (প্রায় ১৪ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানা গেছে।

ধরে ধরে যোদ্ধা বানাচ্ছে বিদ্রোহীরা : ধরে ধরে যোদ্ধা বানাচ্ছে মিয়ারমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীরা। শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি (এসএসপিপি) উত্তর শান রাজ্যের নাউনঘকিও টাউনশিপে শান ও লিসু গ্রামবাসীদের জোরপূর্বক নিয়োগ দিচ্ছে।

চলতি মাসেই এমন জোরপূর্বক নিয়োগ শুরু হয়েছে। সেই সময় একজন কোম্পানি কমান্ডারের নেতৃত্বে প্রায় ১০ জন সশস্ত্র এসএসপিপি সদস্য গ্রাসবাসীদের ধরে নিয়ে গিয়েছিল। মিয়ানমারের দক্ষিণ কেন্দ্রী অংশের বাগো অঞ্চলের ইনমা গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘তারা (এসএসপিপি) হঠাৎ হাজির হয়ে সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে যায়। বিশেষ করে তারা সন্ধ্যার দিকে আসে। যদি কোনো পরিবারে দুটি ছেলে থাকে তাহলে একজন বাধ্যতামূলকভাবে তাদের দিয়ে দিতে হয়। যদি কেউ পরিবারের কাউকে না দিতে চায় তাহলে তাদের বাধ্যতামূলভাবে প্রতি মাসে প্রায় ২ মিলিয়ন কিয়াট এসএসপিপিকে দিতে হয়।’

মিয়ানমার,রাখাইন,বিদ্রোহ
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close