• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে ইডির জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশ:  ২০ জানুয়ারি ২০২৪, ২১:০৯
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ভারতের ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দেশটির আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তকারী কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজ শনিবার সকালে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজধানী রাঁচিতে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেনের বাসভবনে পৌঁছান ইডির কর্মকর্তারা।

ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার (জেএমএম) কার্যনির্বাহী সভাপতি সরেনকে এর আগে সাতবার তলব করেছিল ইডি। কিন্তু তিনি এসব তলবে সাড়া দেননি। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকার তাঁর সরকারকে অস্থিতিশীল করতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, বিজেপির শাসনকালে (২০১৪-২০২৩) অন্তত ১২৪ জন বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতা সিবিআই তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন। এর মধ্যে ১১৮ জন, অর্থাৎ প্রায় ৯৫ শতাংশ বিরোধী নেতা। এই নেতাদের মধ্যে একাধিক রাজ্যের বিরোধী মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। কেন মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ

২০০২ সালের আইন প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের (পিএমএলএ) ৫০ ধারার অধীন একটি জমি কেলেঙ্কারির মামলায় অর্থ পাচারের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সরেনকে তলব করে ইডি। রাঁচিতে অবৈধ খনন এবং জমি কেলেঙ্কারির দুটি মামলা ইডিতে তদন্তাধীন। একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, দুজন ব্যবসায়ীসহ এ মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পরই সরেনকে জেরা করার জন্য তলব করে ইডি।

ভারতের একমাত্র আদিবাসী রাজ্য হিসেবে স্বীকৃত ঝাড়খন্ডের আদিবাসী মুখ্যমন্ত্রী সরেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় রাজ্যে আজ বড় ধরনের বিক্ষোভ মিছিল করেছে বেশ কয়েকটি স্থানীয় সংগঠন। এ কারণে ইডি আধিকারিকেরা হেমন্ত সরেনের বাসভবনে পৌঁছানোর আগে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের চারপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল।

রাঁচির সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ চন্দন কুমার সিনহা জানিয়েছেন, তিন স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এক হাজারের বেশি নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল।

যেসব সংগঠনের ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা ছিলেন, এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় সারনা সমিতি, খারওয়ার ভোক্তা সমাজ, ভারত মুন্ডা সমাজ, বেদিয়া বিকাশ পরিষদ, মাসিহি সমাজ, সাঁওতাল সমাজ দিশুম, আদিবাসী লোহরা সমাজ, যুব সারনা সমিতি, ভীম আর্মি, আদিবাসী সারনা সমিতি, তেতার সারনা সমিতি, করমালী সমাজ ছাড়াও অন্যরা।

দুর্নীতি,ভারত,বিজেপি
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close