• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

৪৯ টাকায় ৪৮টি ডিম কিনতে গিয়ে খোয়ালেন ৬৫০০০ টাকা

প্রকাশ:  ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২২:১৫
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন হওয়ায় ঘরে বসেই খুব সহজেই অনলাইনে কেনাকাটা করা যায়। অনলাইনে কেনাকাটায় কোম্পানিগুলো প্রায়ই অফার দিয়ে থাকে। তবে, অনেক অসাধু চক্রও রয়েছে। তারা বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় অফারের প্রলোভন দেখায়। তাদের ফাঁদে পড়ে অনেকেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। এবার তেমনি এক অফার নিতে গিয়ে এক নারী খোয়ালেন প্রায় ৬৫ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে অনলাইনে মানুষকে প্রতিনিয়তই প্রতারিত করা হচ্ছে। সম্প্রতি ৪৮ হাজার ১৯৯ রুপি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬৫ হাজার টাকা) খোয়ানোর পর ওই নারী পুলিশের দ্বারস্থ হলে বিষয়টি সামনে আসে।

সম্পর্কিত খবর

    অভিযোগ সূত্রে বেঙ্গালুরু পুলিশ জানায়, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বসন্তনগরের এক নারী অনলাইনে বিভিন্ন সামগ্রীর দরদাম দেখছিলেন। কোন সংস্থা কী ছাড় দিচ্ছে তা ঘেঁটে দেখতে দেখতে একটি চমৎকার বিজ্ঞাপনে চোখ আটকে যায় তার। লোভনীয় ‘অফারে’ ডিম দেওয়া হচ্ছে বলে সেই বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়েছিল।

    ভুক্তভোগী নারীর দাবি, ওই বিজ্ঞাপনে লেখা ছিল ৪ ডজন ডিম কেনা যাবে মাত্র ৪৯ রুপিতে। যেখানে এক একটি ডিমের দাম ভারতে সাড়ে ছয় থেকে ৭ রুপি, সেখানে ৪৮টি ডিমের দাম ৩০০ রুপির বেশি হওয়ার কথা। যদি ডিমগুলো আসলেই ৪৯ টাকায় পাওয়া যায়, এই ভেবে ওই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করেন তিনি।

    ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, লিঙ্কে ক্লিক করতেই আমাকে নতুন একটি পাতায় নিয়ে যায়। সেখানে মুরগি পালন, ডিম কীভাবে সংগ্রহ করতে হয় এবং বিক্রিসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ছিল। ওই পাতার নিচের দিকে নামতেই দেখি সেখানে বলা রয়েছে ৯৯ রুপিতে ৪ ডজন ডিম পাওয়া যাচ্ছে। তার সঙ্গে আরও কয়েকটি ‘অফার’ও ছিল। আমি ৪৯ রুপির ৪ ডজন ডিমের ‘অফার’টিতেই ক্লিক করেছিলাম। ওই পাতায় ক্লিক করতেই আমাকে আরও একটি নতুন পাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডিমসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দেওয়া ছিল। সেখানে আমার ব্যাংক কার্ডের তথ্য চাওয়া হয়।

    ওই নারীর দাবি, তিনি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের তথ্য নির্ধারিত জায়গায় দেন এবং অর্ডারের জন্য ক্লিক করেন। তারপর সেটি নতুন একটি পাতায় নিয়ে যায় তাকে। সেখানে পেমেন্টসংক্রান্ত ক্রেডিট কার্ডের তথ্য, সিভিভি নম্বর দেন তিনি। এরপর টাকার পরিমাণ লিখে ক্লিক করতেই একটি ওটিপি আসে। সেই ওটিপি দেওয়ার আগেই অ্যাকাউন্ট থেকে ৪৮ হাজার ১৯৯ রুপি নিয়ে যায় প্রতারক চক্র। এরপরেই তিনি ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু ততক্ষণে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যায়।

    অনলাইন প্রতারণা
    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close