• শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

অস্থিতিশীলতার সুযোগে হাইতিতে মৃত্যুর ঢেউ :জাতিসংঘ

প্রকাশ:  ২১ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৪৩
পূর্বপশ্চিম ডেস্ক

এ বছরের প্রথম তিন মাসে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে হাইতিতে ১,৬৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ৮৫০ জন। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

তথ্য বলছে, হাইতিতে আগের ত্রৈমাসিকের পরিসংখ্যানের তুলনায় হতাহত ৫০% বেড়েছে। ওই সময় ১,১০৪ জনের মৃত্যু ও ৫৩২ জন আহত হয়েছিল।

এরমধ্যে প্রতি পাঁচজনে প্রায় চারজন মৃত্যু বা আহত (৭৯%) ঘটেছে রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সরকার বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলার সংখ্যা বেড়েছে।

সাম্প্রতিককালে সহিংস গোষ্ঠী রাজধানীর দুটি প্রধান কারাগারে হামলা করে। এতে অন্তত ৪,৬০০ বন্দি পালিয়ে যায়। রাজধানীতে অন্তত ২২টি পুলিশি অবস্থানে হামলা করা হয়েছে। এতে অন্তত ১৯ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন।

দীর্ঘ দিন ধরেই গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ভুগছে হাইতি। সরকারের দুর্বলতায় দেশে আংশিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছে কর্তৃপক্ষ। একই অবস্থা রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সে।

ফেব্রুয়ারি থেকে অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। অনির্বাচিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দাবি জানাচ্ছে সাধারণ জনগণ।

ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে পদত্যাগের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি। নির্বাচনের জন্য এরইমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে।

তবে এখনও নতুন ভোটের তারিখ ঘোষণা হয়নি। ২০১৬ সাল থেকেই চলছে এই অবস্থা। ২০২১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসকে হত্যার পর থেকে ক্ষমতায় রয়েছে অনির্বাচিত সরকার। এর পরবর্তী সরকারের প্রধান হেনরি যুক্তি দিয়েছিলেন, নিরাপত্তা পরিস্থিতি এতটাই খারাপ ছিল যে নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি।

বর্তমানে দেশটিতে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ৩৬০,০০০ এরও বেশি। মূলত দরিদ্রতম দেশ হাইতির জনগণ বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে ত্রাণের ওপর নির্ভরশীল। এরমধ্যে মার্চ মাসে ‘‘বার্বিকিউ’’ নামে পরিচিত দেশটির গ্যাং লিডার জিমি চেরিজিয়ার প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির পদত্যাগের দাবি তোলে।

সহিংসতার একপর্যায়ে কারাগার থেকে ৪০০০ কর্মী পালিয়ে যায়। দেশটির মূল বিমানবন্দর দখলেরও চেষ্টা চালানো হয়। ২০২১ সালের জুলাই মাসে প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোইসকে হত্যার পর থেকেই মাসব্যাপী অশান্তি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা বিরাজ করছে হাইতিতে।

প্রতিনিয়তই নিরাপত্তাহীনতা এবং অনিশ্চয়তা ভুগছে বাসিন্দারা। এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে বেড়েছে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা। অস্থায়ী শিবিরে কোনোরকম দিন পাড় করছে তারা। কিন্তু সেখানে পয়ঃনিষ্কাশন, খাবারের পাশাপাশি দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির অভাব।

সংঘর্ষ,আন্তর্জাতিক,আফ্রিকা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close