• শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

ইবির ৫ ছাত্রীকে বহিষ্কার, প্রভোস্টকে অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

প্রকাশ:  ০১ মার্চ ২০২৩, ১৩:১২
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত অন্তরা, তাবাসসুম, মীম, উর্মি ও মোয়াবিয়াকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে প্রভোস্টকে হল থেকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে আগামী তিন দিনের মধ্যে যে কোনো হলে সিট বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে পছন্দমতো যে কোনো সিট দিতে ও ক্লাসে ফিরতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (১ মার্চ) এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালত বলেন, ছাত্র রাজনীতির গৌরবময় অধ্যায় নষ্ট করা হচ্ছে। ছাত্র রাজনীতি অনেকেই বুঝে না বুঝে নষ্ট করছে।

এ সময় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনাও স্মরণ করেন আদালত।

রিটকারী আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর কোনো সমস্যা দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আদালতকে অবহিত করবেন। মেনশন করবেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় রায় দেখে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করবে, সময়ে সময়ে আমাদের আপডেট জানাবে।

এ সময় আদালত প্রভোস্ট-হাউজ টিউটরদের রাতের বেলার বেশিরভাগ সময় হল তদারকির নির্দেশ দেন। সেই সঙ্গে আবাসিক শিক্ষকদেরও বেশিরভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেন।

এছাড়াও বুধবারের এই আদেশ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা দিতে ও তার মোবাইল উদ্ধার করে ভিডিও ক্লিপ সংরক্ষণ করতে পাবনা ও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ওই ছাত্রীকে রাতভর র‌্যাগিং ছাড়াও শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে তার ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ উঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মিসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর।

ওই ঘটনায় সেই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও ঘটনাটিতে পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। পরবর্তীকালে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেলে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম, হালিমা খাতুন উর্মি, ইশরাত জাহান মিমি ও মায়োবিয়ার সিট বাতিল করা হয়। সেই সঙ্গে তাদের স্থায়ীভাবে আবাসিকতা বাতিল করা হয়।

হাইকোর্ট
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close