• বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
শিরোনাম

আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়াকে অব্যাহতির সুপারিশ

প্রকাশ:  ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ২০:২৩
পূর্ব পশ্চিম ডেস্ক

রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী ও গভর্নিং বডির সাবেক দাতাসদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে ছাত্রী ধর্ষণ ও প্রলোভনের অভিযোগের মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

সম্পর্কিত খবর

    মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সোহেল রানা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

    মামলা দায়েরে ‘তথ্যগত ভুল হয়েছে’ বলে ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়, মুশতাক আহমেদের নামে ধর্ষণের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণ হয়নি এবং কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর নামে ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগও প্রমাণ হয়নি। মামলা দায়েরের তথ্যগত ভুল রয়েছে। তাই আসামিদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

    সেই প্রতিবেদনটি আজ আদালতে উপস্থাপন করা হয়। ১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়।

    এ ছাড়া সহযোগী হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও আসামি করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নিয়ে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়ার আদেশ দেন।

    মামলার এজাহারে বাদী বলেন, তার মেয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মুশতাক বিভিন্ন অজুহাতে কলেজে আসতেন এবং ওই ছাত্রীকে ক্লাস থেকে অধ্যক্ষের কক্ষে ডেকে নিতেন। খোঁজ-খবর নেওয়ার নামে আসামি তাকে ‘বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে প্রলুব্ধ করতেন’। কিছুদিন পর আসামি মুশতাক ভুক্তভোগীকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগীকে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক বিয়ে এবং তাকে ও তার পরিবারকে ঢাকা ছাড়া করার হুমকি দেন।

    ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি মো. রেজাউল করিম জানান, বাদী মেয়েটির বাবা সাইফুল ইসলাম নারাজি দেবেন কিনা বলতে পারছি না। তিনি আমাদের সঙ্গে এখোনো যোগাযোগ করেননি। তবে নারাজি দিয়ে কোনো লাভ হবে না।

    তিনি জানান, গত ১৭ আগস্ট বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এই ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে শুনানি নিয়ে বিচারক মাফরোজা পারভীন তাকে জামিন দেন। সেদিন মেয়েটি আসামির পক্ষ নিয়ে আদালতে হাজির ছিলেন। তাকে ‘অপহরণ করা হয়নি’ বলে ভুক্তভোগী ছাত্রী থানায় একটি জিডি করেন।

    • সর্বশেষ
    • সর্বাধিক পঠিত
    close