ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দিল দুদক
গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুদক সচিব মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সচিব বলেন, অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন পাওয়া গেছে। নিয়ম অনুযায়ী তা আদালতে দাখিল করা হবে।
সম্পর্কিত খবর
মাহবুব হোসেন বলেন, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শক অধিদপ্তর অভিযোগ আসার পর দুদক দীর্ঘ অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে মামলা করে। সেই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়ার অনুমোদন পাওয়া গেছে।
দুদক সচিব জানান, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূস ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলামসহ গ্রামীণ টেলিকমের বোর্ড সদস্যদের উপস্থিতিতে ২০২২ সালের ৯ মে সিদ্ধান্ত হয় ব্যাংক হিসাব খোলার। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক ঢাকা ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৮ মে একটি ব্যাংক হিসাব খোলা হয় বলে জানানো হয়। গ্রামীণ টেলিকমের কর্মচারীদের পাওনার লভ্যাংশ বিতরণের জন্য শ্রমিক ইউনিয়ন এবং গ্রামীণ টেলিকমের সঙ্গে একই বছরের ২৭ এপ্রিল একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
ওই চুক্তিতে ৮ মে ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে বলে দেখানো হয়। কিন্তু পরদিনের বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে আগেরদিন ব্যাংক হিসাব খোলা হয়েছে, যা বাস্তবে অসম্ভব। কাগজপত্র নকল করে এটা করা হয়।
দুদক সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, কর্মচারীদের লভ্যাংশের টাকা বিতরণ না করে কর্মচারীদের না জানিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়। টাকা আত্মসাতের সঙ্গে চেয়ারম্যান ড. ইউনূস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম ও আইনজীবী ইউসুফ আলী, জাফরুল হাসান ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতা কামরুল ইসলামসহ ১৪ জন জড়িত।